নব্যেন্দু হাজরা: এম ভি সরস্বতী, সংগীত, আত্রেয়ী, রঙ্গিত, সঙ্গী, শীলাবতী, চাকাচাকি, বিয়াস, মোহনচূড়া – ন’টি নদীর নামে রাখা হয়েছে ন’টি জলযানের নাম। নামকরণ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। শীঘ্রই সেই জলযানগুলি নামতে চলেছে গঙ্গায়। আপাতত ৯টি নামলেও মাসকয়েকের মধ্যে আরও ১৩টি জলযান নামবে বলে জানানো হয়েছে।
নতুন জলযানগুলি মূলত ৮০ ও ১০০ আসনের। গঙ্গা এপার-ওপার করবে ভেসেলগুলি (Vessel)। স্থানীয় সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখে নদীর নামে ভেসেলগুলির নামকরণ (Named)করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই ৯টি অত্যাধুনিক জেটিও চালু হয়েছে। সড়ক পরিবহণের পাশাপাশি জল পরিবহণকে সাজানোর উপরও জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। হচ্ছে জেটির আধুনিকীকরণ, নামছে নতুন ভেসেল। জল পরিবহণের প্রতি মানুষের নির্ভরশীলতা বাড়লে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যাও কমবে। সেক্ষেত্রে কমবে দূষণও। সেদিকে লক্ষ রেখে ভবিষ্যতে ই-ভেসেল বা বৈদ্যুতিক জলযান নামানোরও কথা দপ্তরের। পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, নতুন এই ভেসেলগুলিতে থাকছে বায়ো টয়লেট (Bio Toilet)। এমনভাবে এগুলি বানানো হয়েছে যে, কোনওভাবেই জল দূষিত (Pollution) হবে না। যাবতীয় বর্জ্য জমা হবে একটি জায়গায়। ঘাটে এসে তা পরিষ্কার করা যাবে।
[আরও পড়ুন: এই জন্যই তিনি বাদশা, দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো অঞ্জলির পরিবারকে আর্থিক সাহায্য শাহরুখের]
বিশ্বব্যাংকের (World Bank) আর্থিক সহায়তায় জল পরিবহণ ব্যবস্থাকে সাজাতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে পরিবহণ দপ্তর। এই জলযানগুলি কেনা তারই অঙ্গ। এছাড়া সাজছে জেটিও। ইতিমধ্যে গৌরহাটি, রাসমণি ঘাট, গাদিয়াড়া, আউট্রাম ঘাট, বাঁশবেড়িয়া, দেবীতলার মতো জেটিগুলো নতুনভাবে তৈরি হয়েছে। লেগেছে আলো। বসেছে স্মার্ট কার্ড গেট, বানানো হয়েছে শৌচালয়ও। দপ্তরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, হুগলির ত্রিবেণী থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নূরপুরের মধ্যে ভেসেলগুলি বিভিন্ন ঘাটের মধ্যে চলাচল করবে।
[আরও পড়ুন: অসুস্থতার কথা বলেও মিলল না রেহাই, SSC দুর্নীতিতে একমাস জেল হেফাজতে পার্থ-অর্পিতা-মানিক]
একেকটি জলযান কিনতে খরচ পড়েছে ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। মোট ২০০ কোটি টাকা এই খাতে খরচ করা হবে বলে জানান দপ্তরের কর্তারা। রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘নতুন এই জলযানগুলির নামকরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন নদীর নামে নাম রেখেছেন তিনি। জল পরিবহণকে আরও উন্নত করতে একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে।’’