সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মমতা, চন্দ্রিমার প্রশংসা করে সৌগতকে তুলোধোনা নির্মলার। মঙ্গলবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় বাজেটের উপর জবাবি ভাষণের সময় তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়কে, 'মেল শভিনিস্ট' বলে অ্যাখ্যা দিলেন অর্থমন্ত্রী। সৌগতকে আক্রমণের সময়ে নির্মলা অবশ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রংশসা করে বলেন, "তিনি একজন যোদ্ধা, সেজন্যই এত বছর ধরে রাজ্যের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।" রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে দুর্দান্ত কাজ করছেন বলেও প্রশংসা করেছেন অর্থমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় বাজেটের উপর আলোচনার সময়ে নির্মলাকে (Nirmala Sitharaman) বিঁধে তাঁর যোগ্যতা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন সৌগত। বলে দিয়েছিলেন, নির্মলার মনোমোহন সিংয়ের মতো অক্সফোর্ডের ডিগ্রি নেই, বা চিদম্বরমের মতো হার্ভার্ডের ডিগ্রিও নেই। অর্থনীতি সম্পর্কে আধুনিক ধারনাও তাঁর নেই। এদিন সেই মন্তব্য উদ্ধৃত করেই পালটা সৌগতর সমালোচনায় মুখর হয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, "অবশ্যই, আমিও মনমোহন সিংয়ের মতো হতে চাই না। যারা ভারতে পড়াশোনা করেছেন তারা কি নতুন ধারণা থেকে বঞ্চিত?" এপ্রসঙ্গেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী নাম করে প্রশংসা করেন নির্মলা। তিনি বলেন, "সে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হোক বা আমি, বা আমরা যারা ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছি। হার্ভার্ড বা অক্সফোর্ডের কাছে কোন দিক থেকে কম? এর মানে কি এই যে আপনি যদি ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন, তাহলে আপনার ধারণাগুলি তৈরি হবে না?"
[আরও পড়ুন: সাসপেন্ড করেছিল স্কুল, রাগে মাস্ক পরে ক্লাসে ঢুকে সহপাঠী ও শিক্ষককে কোপাল পড়ুয়া!]
নির্মলা এদিন সৌগতর (Saugata Roy) বিরুদ্ধে কার্যত নারী বিদ্বেষের অভিযোগ তোলেন। পাশাপাশি সৌগত নিজের জন্য লজ্জিত কিনা সেই প্রশ্নও তুলেছেন। অর্থমন্ত্রী আরও বলেছেন, "আমি প্রশ্ন করতে চাই সেই মেল শভিনিষ্ট অধ্যাপককে, যিনি মহিলাদের উপর আক্রমণ করছেন বলে মনে হচ্ছে। তার চেয়েও খারাপ, তিনি ভারতীয় কলেজের একজন অধ্যাপক। তিনি হার্ভার্ডে পড়াচ্ছেন না। তিনি অক্সফোর্ডে পড়াচ্ছেন না। তাহলে তিনি কি সমান? একজন ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৌগত রায় দয়া করে নিজের জন্যও লজ্জিত হন।"
নির্মলার আক্রমণের প্রসঙ্গে পরে এদিন সৌগত বলেছেন, "আমি কোনও ব্যক্তিগত আক্রমণ করিনি। অর্থমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টিকে নিয়েছেন। এ বিষয়ে আমি কি বলব। তবে, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মান ততটা উন্নত নয় বলেই পড়ুয়ারা বিদেশের বিশ্ব বিদ্যালয়গুলিতে চলে যাচ্ছে। আর আমাদের দেশের অর্থনীতি এত বড় যে একজন প্রশিক্ষিত অর্থনীতিবিদ ছাড়া তা সামলানো মুশকিল।"