নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: অপেক্ষা ছিল, ছিল আশাও। দিল্লির জলহাওয়ায় জল্পনাও ছড়াচ্ছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদলের খবর মেলার পর থেকেই জল্পনা চলছিল, বাংলা থেকে কারও ভাগ্যে পূর্ণমন্ত্রিত্বের শিকে ছিঁড়বে কি না। নামও ঘোরাফেরা করছিল কয়েকজনের – নিশীথ প্রামাণিক, লকেট চট্টোপাধ্যায়, শান্তনু ঠাকুর এমনকী দিলীপ ঘোষেরও। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, বাংলা থেকে দু’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নতুন সদস্য হচ্ছেন। কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) এবং বনগাঁর সাংসদ, মতুয়া মহলের প্রতিনিধি শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। নিশীথ প্রামাণিক এই মুহূর্তে দিল্লিতেই রয়েছেন। দিল্লির তলব পেয়ে তড়িঘড়ি রওনা দিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। সূত্রের খবর, লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও (Locket Chattejee)ডেকে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রমন্ত্রির দায়িত্ব পেতে পারেন তিনি। রাতে তাঁরা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করতে পারেন। মঙ্গলবার বিকেলে এ নিয়ে গুরুত্বপূ্র্ণ মন্ত্রীদের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের কথা থাকলেও বিশেষ কারণে তা বাতিল হয়েছে বলে খবর।
নিশীথ প্রামাণিকের হাত ধরে উনিশের লোকসভায় উত্তরবঙ্গে ভাল ফল করেছিল বিজেপি (BJP)। তাই কোচবিহারের সাংসদের একটা আলাদা গুরুত্ব ছিলই। তিনি নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহের বেশ পছন্দের ব্যক্তি। আর শরণার্থীদের স্থায়ী নাগরিকত্ব দান নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের যে স্ট্র্যাটেজি, তাতে মতুয়া মহলের গুরুত্ব অনেকটাই বেশি। বনগাঁর মতো মতুয়া (Motua) অধ্যুষিত এলাকা থেকে বিজেপির আসন ছিনিয়ে নেওয়ায় কদর বেড়েছে ঠাকুরবাড়ির সদস্য শান্তনু ঠাকুরের। এই দু’জনকে তাই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের।
[আরও পডুন: করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় ভুগে চেন্নাইয়ের হাসপাতালে প্রয়াত মুকুল রায়ের স্ত্রী]
বাংলার দুই সাংসদ বাদে মোদি ২.০’র (Modi Cabinet 2.0) মন্ত্রিসভায় নতুন করে যাঁরা ঠাঁই পেতে চলেছেন, তাঁদের সম্ভাব্য তালিকা –
- জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, মধ্যপ্রদেশ (BJP)
- নারায়ণ রানে, মহারাষ্ট্র (BJP)
- সুশীল মোদি, বিহার (BJP)
- সর্বানন্দ সোনেওয়াল, অসম (BJP)
- ভূপেন্দ্র যাদব, উত্তরপ্রদেশ (BJP)
- অনুপ্রিয়া প্যাটেল, উত্তরপ্রদেশ (Aapna Dal)
- পশুপতি পারস, বিহার (LJP)
- প্রীতম মুণ্ডে, মহারাষ্ট্র, (BJP)
এছাড়া সূত্রের খবর, বয়স্ক মন্ত্রীদের দায়িত্বভার কমানো হচ্ছে। যাঁরা বাদ পড়ছেন, তাঁদের ভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। অন্যদিকে, ২০২২-এ উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন। গোবলয়ের সর্ববৃহৎ বিধানসভা আসন বিশিষ্ট রাজ্যে তাই বাড়তি নজর বিজেপির। তাই সেখান থেকে একাধিক সদস্যকে মন্ত্রিসভায় জায়গা করে দেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর এমনই।