সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাড়ির পিছনের সিটে বসলেও বাধ্যতামূলকভাবে সিটবেল্ট পরতে হবে, নয়তো জরিমানা করা হবে, এমনটাই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নীতীন গড়করি (Nitin Gadkari)। রবিবার গাড়ি দুর্ঘটনায় টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির মৃত্যুর পরেই এই ঘোষণা করা হল। প্রসঙ্গত, মার্সিডিজ গাড়ির পিছনের সিটে আসনে বসলেও সিটবেল্ট আটকানো ছিল না সাইরাসের (Cyrus Mistry)। তারপরেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সাইরাসের।
একটি সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, “পিছনের সিটে বসলেও সিটবেল্ট পরা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এই নিয়ম থাকা সত্বেও কেউ এগুলি মেনে চলছে না। তাই পিছনের সিটে বসে কেউ যদি সিটবেল্ট না আটকান তাহলে একটি সাইরেন বাজানো হবে। তারপরেও যদি কেউ বেল্ট না পরেন, তাহলে তাঁকে জরিমানা দিতে হবে।” যে কোনোওভাবে মানুষের জীবন বাঁচানোই একমাত্র উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন গড়করি।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে উদ্ধার ১২০০ কোটির মাদক, পুলিশের জালে দুই আফগান]
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, জরিমানা নেওয়া সরকারের লক্ষ্য নয়। সিটবেল্ট পরার জন্য মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়িয়ে তোলার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হবে। গডকরি বলেছেন, সর্বনিম্ন এক হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। সেই সঙ্গে তিনি আশা করছেন, রাজ্য সরকারগুলিও জরিমানা নেওয়ার বিষয়ে সহমত হবে। আগামী দু’বছরের মধ্যে দেশে পথদুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে চায় সরকার, জানিয়েছেন গডকরি।
সাইরাস মিস্ত্রির মৃত্যুর (Cyrus Mistry Death) পরেই পথ সুরক্ষা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেই প্রসঙ্গে গডকরি বলেছেন, “আমার খুবই খারাপ লাগছে। তবে এই ঘটনা থেকে আমাদের সকলেরই শিক্ষা নেওয়া উচিত।” জানা গিয়েছে, ঘণ্টায় প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার বেগে সাইরাসের গাড়িটি চলছিল। পথের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে গাড়িটির গতি অনুমান করা গিয়েছে। এত জোরে গাড়ি চলা সত্বেও পিছনের সিটে বসে থাকা সাইরাস এবং তাঁর সঙ্গী জাহাঙ্গির পাণ্ডোলে। তাঁদের গাড়িটি একটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। তারপরেই মৃত্যু হয় সাইরাস এবং জাহাঙ্গিরের।