সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফাঁকা বিধানসভায় আস্থাভোটে জয়ী হলেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। সোমবার বিহারের (Bihar) আস্থাভোটের আগেই কক্ষত্যাগ করেন বিরোধীরা। তার পরে ১২৯টি ভোট পড়ে এনডিএ জোটের পক্ষে। নবমবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরে আস্থা ভোটে জয় পেলেন জেডিইউ (JDU) সুপ্রিমো নীতীশ। তাঁর পক্ষে ভোট দিলেন লালুপ্রসাদ যাদবের দলের তিন বিধায়কও।
আস্থাভোটের আগে রীতিমতো হুঙ্কার দিয়েছিলেন বিহারের সদ্যপ্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব (Tjaswi Yadav)। জানিয়েছিলেন, নীতীশের দলের বহু বিধায়ক তাঁর বিপক্ষে ভোট দিতে পারেন। খেলা এখনও বাকি আছে। কিন্তু সোমবার বিহারের বিধানসভায় অন্য ‘খেলা’ দেখতে পেলেন তেজস্বীরা। শুরু থেকেই এনডিএ (NDA) বেঞ্চে গিয়ে বসলেন আরজেডির তিন বিধায়ক।
[আরও পড়ুন: বাংলাকে বঞ্চনার প্রতিবাদ! ১০০ দিনের বকেয়া চেয়ে মোদিকে চিঠি রাহুলের]
ভোটাভুটি শুরুর আগেই পদত্যাগ করেন বিহার বিধানসভার স্পিকার। তার পরে বক্তৃতা পেশ করতে উঠে নীতীশকে লাগাতার আক্রমণ করেন তেজস্বী। কটাক্ষ করে বলেন, “নবমবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে ইতিহাস গড়েছেন, তাই নীতীশকে অভিনন্দন। কিন্তু খারাপ লাগছে জেডিইউ বিধায়কদের কথা ভেবে। কয়েকদিন আগেই যাদের বিরোধিতা করছিলেন আজ তাঁদের হাতই ধরতে হচ্ছে।” তেজস্বীকে পালটা দিয়ে তোপ দাগেন বিহারের নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরি। সাফ জানিয়ে দেন, ক্ষমতায় থাকাকালীন নিজেদের একেবারে দুর্নীতির যোগ্য উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরেছিল আরজেডি (RJD)।
বক্তব্য পেশের পরে আস্থাভোট করার অনুরোধ জানান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ। সঙ্গে সঙ্গেই প্রস্তাবের তুমুল বিরোধিতা করে ওয়াকআউট করেন বিরোধীরা। ফলে কার্যত ফাঁকা বিধানসভায় আস্থাভোটে জিতলেন নীতীশ। তাঁর পক্ষে পড়ল ১২৯টি ভোট। আরজেডির তিন বিধায়কও নীতীশের পক্ষেই ভোট দেন। যদিও ওই তিন বিধায়ককে নিয়ে আরজেডি শিবিরের মত, জনতা আর তাঁদের ভোট দিয়ে জেতাবেন না।