সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কর্ণাটকের (Karnataka) মুসলিম কোটা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করা যাবে না, সাফ জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তিন বিচারপতির বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, আদালতে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে এভাবে জনসমক্ষে মন্তব্য করতে পারেন না রাজনৈতিক নেতারা। প্রসঙ্গত, কর্ণাটকের একাধিক নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) দাবি করেছিলেন বিজেপিই মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ (Muslim Reservation) প্রত্যাহার করেছে।
বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকদিন আগেই কর্ণাটকের বিজেপি সরকার ঘোষণা করে, মুসলিমদের জন্য ৪ শতাংশ সংরক্ষণ প্রত্যাহার করা হবে। পরিবর্তে ভোক্কালিগা ও লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের জন্য নির্দিষ্ট করা হয় ওই সংরক্ষণ। এহেন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়।
[আরও পড়ুন: আইপিএলেও ডিএ প্রতিবাদ, ব্যানার হাতে ইডেনে ম্যাচ দেখতে হাজির সরকারি কর্মীরা]
মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী দুষ্ম্যন্ত দাভে তিন বিচারপতির বেঞ্চকে বলেন, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই দাবি করেছেন, তাঁর দল কর্ণাটকে মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ প্রত্যাহার করেছে।” প্রসঙ্গত, কর্ণাটক ছাড়াও তেলেঙ্গানাতে মুসলিম সংরক্ষণ বাতিলের ডাক দেন তিনি। ফলে প্রশ্ন ওঠে, আদালতে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে প্রকাশ্য জনসভায় কী করে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মঙ্গলবার কর্ণাটকের মামলার শুনানি শুরু হওয়ার পরেই অমিত শাহের মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন দাভে। তারপরেই বিচারপতিদের তরফে বলা হয়, “সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে এইভাবে মন্তব্য করা যায় না। ১৯৭১ সালে এই একই কারণে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে আটক করা হয়েছিল।” তবে এদিন মামলায় কোনও রায় দেয়নি শীর্ষ আদালত। আগামী ২৫ জুলাই ফের কর্ণাটক মামলার শুনানি হবে।