ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) আগে জনসংযোগের উদ্দেশে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ শুরু করছে কংগ্রেস (Congress)। ১৪ জানুয়ারি উত্তর-পূর্বের ইম্ফল (Imphal)থেকে তা শুরু হচ্ছে। বাংলার মধ্যে দিয়ে যাবে রাহুল গান্ধী নেতৃত্বাধীন সেই যাত্রা। কোচবিহার, মালদহ, মুর্শিদাবাদ ‘ন্যায় যাত্রা’র রুট। আর সেখানেই রাহুলের কাছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) অনুরোধ, দার্জিলিং (Darjeeling) পাহাড়ে আসুন রাহুল। এখানে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী সকলেই এসেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হয়ে মোদি কখনও আসেননি। আর একথা উল্লেখ করেই অধীরবাবুর পরামর্শ, মোদির দার্জিলিঙে না আসার ফায়দা নিক কংগ্রেস। শনিবার কংগ্রেসের বৈঠকে এনিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে খবর। এছাড়া প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে নিজস্ব কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে।
রবিবার ইম্ফল থেকে যখন ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ শুরু করবেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), সেসময় রাজ্যজুড়ে ব্লকে ব্লকে মিছিল করবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। এমনকী অধীর নিজের গাড়িতেও ‘ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রা’র স্টিকার লাগিয়েছেন।
এদিন বাংলায় দলের পর্যবেক্ষক জি এ মীরের উপস্থিতিতে বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হয়। যাত্রার রুট অনুযায়ী, আগামী ২৫ জানুয়ারি অসমের দিসপুর থেকে কোচবিহারের (Cooch Behar) বক্সিরহাট হয়ে বাংলায় প্রবেশ করবে রাহুলের মিছিল। এর পর ২৬ ও ২৭ তারিখ উত্তরবঙ্গ ঘুরে ২৮, ২৯ বিহারের পূর্ণিয়ায় পৌঁছবে ন্যায় যাত্রা। আবার তা বাংলায় ঢুকবে ৩০ তারিখ। মালদহ, মুর্শিদাবাদ হয়ে ঝাড়খণ্ড চলে যাবে।
[আরও পড়ুন: বাবরি ধ্বংসে যোগ দিয়ে হারিয়েছিলেন হাঁটার ক্ষমতা, মোদির কাছে বিশেষ আর্জি সেই করসেবকের]
এদিন জোট নিয়েও আলোচনা হয় প্রদেশ কংগ্রেসের বৈঠকে। নেতৃত্বের একাংশ জোটের বদলে এককভাবে লড়াইয়ের পক্ষে মত দিয়েছে। এমনিতেও বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে হাত শিবিরের জোট নিয়ে জল্পনা চলছে। আসন সমঝোতা নিয়ে বোঝাপড়ার অভাবেই জোট সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসেরই অনেকে জোট চাইছেন না। বরং তাঁদের প্রস্তাব, জোট হোক সিপিএমের (CPM) সঙ্গে। এসব বক্তব্য শুনে অবশ্য কোনও মত দেননি পর্যবেক্ষক জি ও মীর। বৈঠক সেরে তিনি ফিরে যান এবং জানান, আগামী ২২ তারিখ ফের আসবেন এখানে। তখনই জোট নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে।