সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১১ লক্ষ টাকার সোনা, নগদ ১০ লক্ষ টাকা এবং একটি এসইউভি গাড়ি পণ নেওয়ার পরেও এক গৃহবধুকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ নয়ডায়! বরপক্ষ নতুন করে নগদ ২১ লক্ষ টাকা এবং একটি টয়োটা ফরচুনার গাড়ি দাবি করেছিল। তা না পেয়ে নৃশংস অত্যাচার চালানো হয় তরুণীর উপরে। এর ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি গৃহবধুর পরিবারের। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম করিশ্মা। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে গ্রেটার নয়ডার চাউগানপুর গ্রামের বিকাশের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। করিশ্মার ভাই দীপক জানিয়েছেন, বিয়ের সময় পণ হিসেবে ১১ লক্ষ টাকার সোনার গয়না, একটি এসইউভি গাড়ি দেওয়া হয়েছিল। যদিও বিয়ের পর থেকেই বোনের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন বিকাশ, তাঁর বাবা-মা, বোন এবং দুই ভাই। মিটমাট করতে পঞ্চায়েতও বসেছিল। এর পর কারিশ্মার বাড়ি থেকে ১০ লক্ষ টাকা নগদ দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও নির্যাতন থামেনি। নতুন করে ২১ লক্ষ টাকা এবং একটি টয়োটা ফরচুনার গাড়ি দাবি জানায় বিকােশের পরিবার।
[আরও পড়ুন: ‘সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছেন’, নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েও সুপ্রিম ভর্ৎসনার মুখে রামদেব]
সেই দাবিতেই অত্যাচার চালানো হত করিশ্মার উপরে। ঘটনার দিন শ্বশুরবাড়িতে বেধড়ক মারধর করা হয় করিশ্মাকে। খবর পেয়ে দীপক এবং পরিবারের অন্যরা পৌঁছে দেখেন মৃত্যু হয়েছে করিশ্মার। এর পরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় বিকাশ, তাঁর বাবা সোমপাল ভাটি, মা রাকেশ, বোন রিঙ্কি. দুই ভাই সুনীল এবং অনিলের বিরুদ্ধে। বিকাশে এবং তাঁর বাবাকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ করছে পুলিশ।