সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার অতর্কিত আক্রমণ করে দুই ভারতীয় জওয়ানের মুণ্ডচ্ছেদ করেছে পাক বাহিনী। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরও ভারতের উপর যেভাবে আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে পাকিস্তান, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দেশের অভ্যন্তরেও। শাসকদলের উপর এ নিয়ে চাপ বাড়িয়েছে বিরোধীরা। বিরোধিতার সুর চড়িয়ে কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল জানালেন, দেশে তো পূর্ণ সময়ের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীই নেই। সন্ত্রাস রোখার পরিকল্পনা থাকবে কী করে।
মঙ্গলবার সকালেই শাসকদলের বিরুদ্ধে একপ্রস্থ অভিযোগ জানিয়েছিলেন ল্যান্সনায়েক হেমরাজের মা। ২০১৩ সালে হেমরাজের মুণ্ডচ্ছেদ করেছিল পাকিস্তান। শহিদের মায়ের অভিযোগ, সে সময় শাসকদল বলেছিল, বদলা নিতে ১০ পাক সেনার মাথা কেটে আনা হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। হেমরাজের মা অভিযোগ করে জানিয়েছেন, শহিদের পরিবারকে দেওয়া কোনও প্রতিশ্রুতিই পূরণ করেনি শাসকদল। সন্তান হারানোর যন্ত্রণা তো এবার অন্তত বুঝুক প্রশাসন। শহিদ হেমরাজের এক আত্মীয় বিরোধিতার সুর চড়িয়ে সরাসরি মোদি সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছিল। এবার সেই একই প্রসঙ্গ উঠে এল কপিল সিব্বলের কথাতেও। তিনিও হেমরাজের কথা তুলে আনেন। বলেন, সে সময় সুষমা স্বরাজ বলেছিলেন ১০ পাক সেনার মাথা কেটে আনা হবে। কিন্তু কোথায় কী! প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর প্রশ্ন, এবার দুয়ের বদলে কতজনের মাতা আনা হবে? কেন সন্ত্রাস রোখার জন্য কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, কেন সঠিক কোনও পরিকল্পনার রূপরেখা নেই, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। তা নিয়েই কটাক্ষ সিব্বলের। তিনি জানান, দেশে কোনও পূর্ণ সময়ের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী থাকলে তবে তো কোনও নিশ্ছিদ্র পরিকল্পনা থাকবে। প্রসঙ্গত, মনোহর পারিকর গোয়ায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নিবাচিত হওয়ার পর প্রতিরক্ষার দায়িত্বে এসেছেন অরুণ জেটলি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নজরে আসেনি। এবার তা নিয়েই শাসকদলকে বিঁধলেন এই কংগ্রেস নেতা।
শাসকদলের উপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, ইউপিএ সরকারের সময় একজন সাংসদ বলেছিলেন, মনমোহন সিংয়ের জন্য চুড়ি পাঠাবেন কিনা। তিনি এখন মন্ত্রী। এখন তাঁর কাছে সিব্বলের প্রশ্ন, এবার মোদির জন্যও তিনি চুড়ি পাঠাতে চাইবেন তো? বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে উদ্দেশ্য করেই তাঁর এই কটাক্ষ। ক্ষুব্ধ সিব্বলের প্রশ্ন, এ কোন সরকার চলছে? দেশের যখন এই অবস্থা তখন কেউ কারও জন্মদিন পালনের জন্য পাকিস্তানে চলে যাচ্ছে। শাসকদলকে কটাক্ষ করে তাঁর প্রশ্ন, নির্বাচনী প্রচার আর ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ফাঁকে একটু সময় পেলে, দেশের সীমান্তের জন্যও এবার এই সরকার কিছু করবে কি?
The post ‘দেশে পূর্ণ সময়ের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীই নেই তো স্ট্র্যাটেজি থাকবে কী করে?’ appeared first on Sangbad Pratidin.