shono
Advertisement

মানতে হবে শরিয়ত আইন, বাংলাদেশের সিনেমা-নাটকে বিয়ের দৃশ্যে বাদ পড়ছে ‘কবুল’শব্দটি!

ইতিমধ্যেই সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকে এই মর্মে নোটিস পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।
Posted: 05:33 PM Oct 30, 2020Updated: 05:33 PM Oct 30, 2020

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের কোনও সিনেমা আর নাটকে ব্যবহার করা যাবে না ‘কবুল’ শব্দটি। এই মর্মে সেদেশের তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব-সহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। ধর্মীয় বিধি উল্লেখ করে নাটক-সিনেমায় বিয়ের দৃশ্যে ‘কবুল’ উচ্চারণে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, ইসলামিক বিয়ের প্রথা অনুযায়ী পাত্র এবং পাত্রীকে আত্মীয়স্বজনের উপস্থিতিতে আলাদা ঘরে বসানো হয়। এরপর বিয়ের কাজী (যিনি বিয়ে পড়ান)পাত্রীর নাম-ধাম, পরিচয়-সহ যাবতীয় তথ্য পাত্রকে শুনিয়ে শেষে জিঞ্জাসা করেন তিনি এ বিয়েতে রাজি কিনা। সম্মতি থাকলে পাত্রকে বলা হয়- ‘কবুল’ বলুন। পাত্রের পর পাত্রীর কাছে গিয়ে একই নিয়মে নিকাহ সম্পন্ন করা হয়। এই বিধির উল্লেখ করেই বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান নোটিশটি পাঠান। যাতে মন্ত্রণালয়ের সচিব ছাড়াও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয় সচিব এবং বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডকে (BFCB) উল্লেখ করা হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে সিনেমা, নাটকের বিয়ের দৃশ্যে ‘কবুল’ শব্দ উচ্চারণে নিষেধাজ্ঞা জারি করার আবেদন জানানো হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে বলেও জানানো হয়।

[আরও পড়ুন: সুশান্ত কাণ্ডে এবার বলিউড পরিচালককে সমন! টুইটারে ট্রেন্ডিং হয়েছে ‘হু কিলড সুশান্ত’]

নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রচলিত ১৯৭৩ সালের মুসলিম আইনের ধারা ২ অনুযায়ী বিবাহ, তালাক, ভরণপোষণ, মোহরানা প্রভৃতি ক্ষেত্রে দুই পক্ষ যদি মুসলিম হন তাহলে সেক্ষেত্রে মুসলিম আইন (শরিয়ত) প্রযোজ্য হবে। সুতরাং মুসলিম নারী ও পুরুষ উপরোক্ত আনুষ্ঠানিকতা পূরণ করলেই তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে গণ্য হবেন। আর মুসলিম ম্যারেজ অ্যান্ড ডিভোর্স (রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট ১৯৭৪)’ এর ধারা ৩ অনুযায়ী, মুসলিম নারী-পুরুষের মধ্যে বিবাহ মুসলিম আইন অনুযায়ী হবে। ওই আইনের ধারা ৫ অনুযায়ী বিবাহ সম্পাদনের সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে তা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তবে নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) যদি বিয়েতে উপস্থিত থাকেন তবে তিনি বিবাহের অনুষ্ঠানের সময়ই বিয়ের রেজিস্ট্রেশন করবেন। এছাড়া কেউ যদি বিয়ের রেজিস্ট্রেশন না করে তবে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। নোটিশে আরও বলা হয়, বিয়ে এবং বিয়ে রেজিস্ট্রেশন দু’টোই পৃথক বিষয়। মুসলিম নারী ও পুরুষের মধ্যে বিবাহ অনুষ্ঠিত হয় মুসলিম আইন (শরিয়ত) অনুযায়ী। অপরদিকে, বিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে মুসলিম ম্যারেজ অ্যান্ড ডিভোর্স (রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট ১৯৭৪) আইন অনুযায়ী। এক্ষেত্রে বিয়ে রেজিস্ট্রেশন না করা অপরাধ হলেও মুসলিম আইন অনুযায়ী বিয়ে বৈধ থাকবে। তার জেরেই মাহমুদুল হাসান জানান, বাংলাদেশে বিভিন্ন সিনেমা, নাটক এবং ভিডিওর বিভিন্ন দৃশ্যে বিয়ের দৃশ্যায়নে মুসলিম অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা যদি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা পূরণসহ ‘কবুল’ শব্দ উচ্চারণ করে থাকেন, মুসলিম আইন (শরিয়ত) অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রী হিসেবে গণ্য হবেন। অভিনয়ের যুক্তিতে সেই বিয়েকে অস্বীকার করা যাবে না।

[আরও পড়ুন: অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যর নগ্ন ভিডিও ফাঁস! তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement