ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: রাজ্যে কোভিড টিকা পৌঁছনোর দিনই সুখবর। নতুন করে আর করোনার বিলিতি স্ট্রেনের হদিশ মেলেনি বাংলায়। স্বস্তি দিয়ে মঙ্গলবার রাজ্যকে এ কথা জানিয়ে দিল কেন্দ্র। করোনার নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত রাজ্যের একমাত্র যুবকও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। তাঁর মধ্যে অবশ্য কোনও লক্ষ্ণণ ছিল না।
লন্ডন ফেরত ওই করোনা (COVID-19) আক্রান্ত যুবকের সংস্পর্শে আসা ৫৪০ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ২২০ জনের আরটিপিসিআর টেস্ট করা হয়। সেই রিপোর্টে ১৩ জনের নমুনায় করোনার বিলিতি স্ট্রেনের প্রাথমিক লক্ষ্মণ পাওয়া গিয়েছিল। তড়িঘড়ি তাঁদের বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভরতিও করা হয়। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজেও ভরতি ছিলেন একজন। কারোর লালারসেই বিলিতি স্ট্রেনের হদিশ মেলেনি বলে কল্যাণীর জেনোমিক স্টাডি ইনস্টিটিউট থেকে জানানো হয়েছে। এরপরই সকলকে বাড়ি ফিরে ১৪-১৬ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন : বিবেকানন্দের জন্মদিনে শ্যামবাজার থেকে শুরু বিজেপির মিছিল, গোলপার্ক থেকে তৃণমূলের]
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “বাংলায় কারোর শরীরেই নতুন করে করোনার বিলিতি স্ট্রেনের হদিশ মেলেনি।” স্বাভাবিকভাবেই এই খবরে স্বস্তি পেয়েছে রাজ্যবাসী তথা রাজ্য সরকারও। তবে গোটা দেশের পরিস্থিতি এতটা স্বস্তিদায়ক নয়। ইতিমধ্যে দেশে প্রায় ৯৬ জন করোনার নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়েছেন। লন্ডন ফেরত অনেকেই আবার পরীক্ষা না করে ভুয়ো নাম-ঠিকানা দিয়ে গায়েব হয়ে গিয়েছেন। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়েছে। এদিন সকালে মহারাষ্ট্রে আরও ৫ জনের শরীরে নতুন স্ট্রেনের হদিশ মিলেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের একদম শেষভাগে রাজ্যে করোনার নতুন সংক্রামক স্ট্রেনে আক্রান্ত হন এক যুবক। তিনি লন্ডন থেকে ফিরেছিলেন। এরপরই আতঙ্ক ছড়ায়। তবে রাজ্য সরকারের তৎপরতায় পরিস্থিতি জটিল হতে পারেনি। লন্ডন ফেরত ওই যুবকের সংস্পর্শে আসা ৫৯০ জনকে তৎক্ষণাৎ চিহ্নিত করে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর ও দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এবার তারই সুফল মিলল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।