সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধা দিতে পারেন একজন যৌন কর্মীও। যৌন পরিষেবা দেওয়া তাঁর পেশা হতে পারে। তবে এব্যাপারে তাঁকে জোর করা হলে আইনের দ্বারস্থ হতে পারেন তিনিও। চাইতে পারেন প্রতিবিধান। যৌনাচারে অভ্যস্ত বলেই তাঁর উপর যৌন অত্যাচার করার অধিকার জন্মায় না কারও। জানাল সুপ্রিম কোর্ট।
[তিনসুকিয়া গণহত্যার প্রতিবাদে অসমে চলছে বনধ, স্তব্ধ বরাক উপত্যকা]
১৯৯৭ সালে রাজধানী দিল্লিতে হওয়া একটি গণধর্ষণের ঘটনার রায় দিতে গিয়েই এই মন্তব্য করে দেশের শীর্ষ আদালত। ২০০৯ সালে মামলাটি যখন দিল্লি হাই কোর্টে ওঠে, তখন নির্যাতিতাকে ‘দুশ্চরিত্রা’, ‘যথেচ্ছ যৌনাচারে অভ্যস্ত’ এবং ‘যৌনপেশায় যুক্ত’ বলে উল্লেখ করে হাইকোর্ট চার দোষীকে ছাড় দেয়। সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি দিল্লি হাই কোর্টের সেই রায়কেই খারিজ করে জানায় পতিতা হলেও তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে না। তাঁকে ধর্ষণ করা যাবে না। আর কেউ ‘যথেচ্ছ যৌনাচার’ করেন বলেই তাকে দুশ্চরিত্র বা পতিতা বলে দেগে দেওয়াটা অযৌক্তিক।
[অযোধ্যায় বিশ্বের উচ্চতম রামের মূর্তি গড়তে চলেছে যোগীর সরকার]
এ সংক্রান্ত রায় দিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত চারজনকে আত্মসমর্পণ করতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। এই ঘটনায় দোষীদের দশ বছরের সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত। পরে হাই কোর্ট তাদের ছাড় দেয়। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জানিয়েছে, দোষীদের আত্মসমর্পণ করতে হবে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে। প্রাপ্য সাজা ভোগ করতে হবে তাদের। নিম্ন আদালতের রায়ের প্রশংসা করে সুপ্রিম কোর্ট জানায় মামলাটি নিয়ে নিম্ন আদালতের পর্যবেক্ষণ যথার্থ ছিল। নির্যাতিতা তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে যা-ই করুন না কেন, কিংবা তিনি যদি দুশ্চরিত্রও হন, তাহলেও সেই কারণ দেখিয়ে তাঁকে নিগ্রহ বা ধর্ষণ করা যায় না। তাঁর চরিত্রকে ধর্ষণের সমর্থনে যুক্তি হিসাবেও খাড়া করা যেতে পারে না। দিল্লি হাই কোর্টে নির্যাতিতার যথেচ্ছ যৌনাচারের উল্লেখ করে ধর্ষণের সপক্ষে যুক্তি দিয়েছিল দোষীরা।
The post ‘না’ বলার অধিকার আছে যৌন কর্মীদেরও, জানাল সুপ্রিম কোর্ট appeared first on Sangbad Pratidin.