নিরুফা খাতুন: ভাড়াটিয়াদের অধিকার সুরক্ষিত করে বিপজ্জনক বাড়িগুলি ভাঙতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। সে জন্য বিপজ্জনক বাড়ির ভাড়াটিয়াদের নাম ও ঠিকানা নথিভুক্ত করে সম্পত্তি কর দপ্তরকে পাঠাচ্ছে বিল্ডিং বিভাগ। নতুন বাড়ি তৈরি হলে সম্পত্তি কর দপ্তরে নথিভুক্ত নাম ও ঠিকানা ধরে ভাড়াটিয়াদের ওই বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হবে।
একবার বাড়ি ছাড়লে আর ফিরে পাব না, এই আশঙ্কায় ঝুঁকি নিয়ে বিপজ্জনক বাড়িতে ভাড়াটিয়ারা বসবাস করছেন। এদিকে শহরে এই বাড়িগুলি এখন বড় আতঙ্কের। জরাজীর্ণ বাড়িগুলি যে সুরক্ষিত নয়, সেই সংক্রান্ত নোটিস বারবার পাঠাচ্ছে পুরসভা। বাসিন্দাদের সচেতনও করা হচ্ছে। তবুও অনেকেই সচেতন হচ্ছেন না। আবার মানবিকতার খাতিরে পুরসভাও বিপজ্জনক বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের সরাতে পারছে না। বাড়ির বিপজ্জনক অংশ ভেঙে দিয়ে ক্ষান্ত থাকতে হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রেই।
[আরও পড়ুন: ‘পথের কাঁটা’ বাবা-মাকে প্রেসার কুকার-হাতুড়ি দিয়ে খুন! গ্রেপ্তার নাবালিকা ও ৩৭ বছরের প্রেমিক]
বিল্ডিং দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, অধিকাংশ মালিক বাড়ি ভাঙার পক্ষে। কিন্তু ভাড়াটিয়ারা বাড়ি খালি করতে চান না। বাড়ি ফিরে পাবেন না, এই ভয়ে ভাড়াটিয়ারা বাড়ি ছাড়ছেন না। এই ভয় দূর করতে পুরসভা ভাড়াটিয়াদের সুরক্ষা কবজ দেবে। তাঁদের অধিকার সুরক্ষিত করতে ভাড়াটিয়াদের নাম ও ঠিকানা নথিভুক্ত করে সম্পত্তি কর বিভাগকে পাঠানো হচ্ছে। বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি তৈরি করা হলে সম্পত্তি কর দপ্তরে নথিভুক্ত নাম ও ঠিকানা ধরে ভাড়াটিয়াদের সেখানে ফিরিয়ে আনা হবে।
ইতিমধ্যে ১ নম্বর বরোতে বিপজ্জনক বাড়ির ভাড়াটিয়াদের নাম ও তালিকা নথিভুক্তকরণের কাজ শুরু করেছে পুরসভা। তবে অধিকাংশ পুরনো বাড়িতে ভাড়াটিয়ারা সাব টেন্যান্ট বসিয়ে চলে যান। ফলে বাড়ি ভাঙলে সেই বাড়িতে প্রবেশের অধিকার কার থাকবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। অবশ্য পুর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, নতুন বাড়ি তৈরি হলে বাসিন্দাদের অধিকার নিয়ে কোনও দ্বন্দ্ব যাতে না হয় সে জন্য ভাড়াটিয়ার সঙ্গে সাব টেন্যান্টদের নামও নথিভুক্ত করা হচ্ছে। এতে কারও অধিকার খর্ব হবে না। পুরসভার তথ্য অনুযায়ী শহরে প্রায় তিন হাজার বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে অতি বিপজ্জনক সংখ্যা ১০০ মতো। সব থেকে বেশি বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে বরো ৪ এবং ৫ নম্বরে। কঙ্কালসার বাড়িগুলি যে কোনও সময় তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে পারে।