সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু গণপরিবহণে জোড়-বিজোড় নীতি চালু করে দূষণ কমানো যাবে না। সকালেই বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। দুপুর গড়াতেই দিল্লি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল, আপাতত এই জোড়-বিজোড় নীতি চালু করা হবে না। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) সরকার বলছে, বৃহস্পতিবার রাত এবং শুক্রবার সকালের বৃষ্টিতে দূষণ অনেকটা কমেছে। তাই আপাতত জোড়-বিজোড় নীতি স্থগিত রাখা হচ্ছে।
গত সপ্তাহেই দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই ঘোষণা করেন, দূষণ পরিস্থিতির কারণে জোড়-বিজোড় নম্বর-প্লেটের গাড়ির বিধি ফেরানো হবে। দিওয়ালি (Diwali) পেরোলে ১৩-২০ নভেম্বর অবধি এই বিধিনিষেধ চালু হবে। পরিস্থিতির উপর নজর রেখে এই বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়ানোও হতে পারে। রাস্তাায় গাড়ির সংখ্যা কমলে দূষণ অনেকটাই কমানো যাবে। সেই গোপাল রাই-ই শুক্রবার ঘোষণা করলেন, বৃষ্টির জন্য দূষণ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তাই আপাতত জোড়-বিজোড় নীতি স্থগিত রাখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বাড়ির সামনে পড়ে একটি দেহ, ভিতরে আরও ২! কাঁকসায় একই পরিবারের ৩ জনের রহস্যমৃত্যু]
বস্তুত, শুক্রবারের বৃষ্টিতে সত্যিই কিছুটা কমেছে দিল্লির দূষণ। বৃষ্টিপাত হওয়ায় ঘন কুয়াশার যে চাঁদর রাজধানীর আকাশ-বাতাস ঢেকে ফেলেছিল, সেটা অনেকাংশে মিলিয়ে গিয়েছে। শুক্রবারের আকাশ অনেকটাই পরিষ্কার ছিল। কিন্তু সেটা কোনওভাবেই বিরাট স্বস্তির ব্যাপার নয়। কারণ এদিন সকালেও রাজধানীর বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বাতাসের গুণগত মান ৪০০-র আশেপাশে ছিল।
[আরও পড়ুন: Kali Puja 2023: কালীপুজোর ভিড় সামলাতে পথে ৫ হাজার পুলিশ, বাড়তি নজর বাজি নিয়ন্ত্রণে]
তাহলে কেন দিল্লি সরকার জোড়-বিজোড় পন্থা বাতিল করল? আসলে শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্ট দূষণ নিয়ে দিল্লি সরকারকে ভর্ৎসনা করেছে। শীর্ষ আদালত (Supreme Court) জানিয়েছে, এভাবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। মাত্র ১৩ শতাংশ দূষণ কমে। তাতে লাভের লাভ হয় না। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, দিল্লির সব দপ্তর সঠিকভাবে কাজ না করলে আগামী দিনে সব সচিবদের ডেকে পাঠানো হবে।