বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি : রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে পঞ্চায়েতের জন্য সরাসরি টাকা দিক কেন্দ্র। এই দাবি নিয়ে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের (Giriraj Singh) দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিজেপি (BJP) সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। কিন্তু সেই দাবি খারিজ হতেই রাজ্যের পাওনা টাকা আটকানোতেই সায় দিয়েছেন তিনি।
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। অথচ একশো দিনের কাজ ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (Prathanmantri Avas Yojna) বাংলার প্রাপ্য বকেয়া দিতে রাজি নয় কেন্দ্র। তাতে যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে বিপাকে পড়তে হবে তা বুঝতে পেরে বিকল্প রাস্তা খুঁজতে তৎপর হয়েছিলেন দিলীপ। কিন্তু বাংলাকে কোনওভাবেই টাকা দিতে নারাজ কেন্দ্র। একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনা–এই দুই প্রকল্প নিয়ে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাকে টাকা দেওয়া হবে না বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন গিরিরাজ। একই সঙ্গে রাজ্যকে বাদ দিয়ে সরাসরি টাকা দেওয়া সম্ভব নয়, সেকথাও বলেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: চিকিৎসার সময় স্ত্রীর গায়ে হাত দেওয়ায় ডাক্তারকে সপাটে চড়, যুবকের জামিন খারিজ]
এদিন গিরিরাজের সঙ্গে বৈঠকের পরে খোদ দিলীপই একথা জানিয়েছেন। যা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)। তিনি বলেছেন, “বিজেপি দলটা যে বাংলাবিরোধী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। না হলে রাজ্যের সাংসদ কখনও বাংলার টাকা আটকে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে! তবে যত তারা এই ধরনের উলটাপালটা কাজ করবে, ততই মানুষের থেকে দূরে সরে যাবে। সাগরদিঘির ফল সামনে এলেই দেখতে পাবেন।”
[আরও পড়ুন: কেন আদালতে পেশ করা হল না অনুব্রতকে? দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের প্রশ্নের মুখে ED]
এদিনের বৈঠকে প্রসঙ্গে দিলীপ জানান, “দুই কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে বহু অভিযোগ জমা পড়েছে। তার তদন্ত করতে কেন্দ্রীয় দল বাংলায় গিয়েছিল। কিন্তু তাঁদের গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও টাকা দেওয়া হবে না বলেই গিরিরাজজি জানিয়ে দিয়েছেন।”
দিলীপের দাবি, বাংলার আবাস যোজনায় ৫৬ লক্ষ বাড়ির জন্য টাকা দেওয়া হয়েছিল। তার একটারও হিসেব এখনও আসেনি। যতক্ষণ না রিপোর্ট আসছে, একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনায় দুটোতেই টাকা ছাড়বেন না বলে আমি অনুরোধ করেছি। তবে সাধারণ মানুষের স্বার্থে রাজ্য সরকারকে বাদ দিয়ে কেন্দ্র সরাসরি যদি কিছু টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে সেই অনুরোধও করেছিলাম। কিন্তু সেটা সম্ভব নয়।”