সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুস্তি ফেডারেশনের (WFI) প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনে বুধবার থেকে ধরনায় বসেছেন অলিম্পিকে পদকজয়ী কুস্তিগিররা। বিজেপি সাংসদ তথা ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের কাছে তিনদিনের মধ্যে এই অভিযোগের জবাব চেয়েছে কেন্দ্র। ধরনায় বসা কুস্তিগিরদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠকেও বসেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী কুস্তিগির ও বিজেপি সাংসদ ববিতা ফোগাট (Babita Phogat) এই বৈঠকে মধ্যস্ততা করেন। তবে জানা গিয়েছে, কুস্তি ফেডারেশনের আসন্ন সভায় উপস্থিত থাকবেন অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার এই ধরনায় উপস্থিত ছিলেন গীতা ফোগাট, মহাবীর ফোগাটের মতো কুস্তিগিররাও।
তবে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করলেও লাভ হয়নি কুস্তিগিরদের। বৈঠকের পর রিও অলিম্পিকে পদকজয়ী সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik) বলেন, “গোটা ঘটনায় কোনও পদক্ষেপ করার উদ্যোগ নেয়নি সরকার। শুধুমাত্র আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সরকারের ভূমিকায় একেবারেই খুশি নই আমরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ন্যায়বিচারের অনুরোধ জানাচ্ছি।” টোকিও অলিম্পিকে পদকজয়ী বজরং পুনিয়া সাফ জানিয়ে দেন, “বেশ কয়েকজন মহিলা কুস্তিগির আমাদের সঙ্গে রয়েছেন, যাঁদের যৌন হেনস্তা করেছিলেন ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট। সমস্ত প্রমাণও রয়েছে আমাদের হাতে।”
[আরও পড়ুন: তিন বছর পর মুখোমুখি মেসি-রোনাল্ডো, সৌদির মাঠে মহাদ্বৈরথের অপেক্ষায় ফুটবলবিশ্ব]
ধরনার দ্বিতীয় দিনে ভিনেশ ফোগাট জানিয়েছেন, সরকারের তরফে কোনও সদর্থক বার্তা পাননি কুস্তিগিররা। “আমরা চাই, ব্রিজভূষণকে কারাদণ্ড দেওয়া হোক। দরকার পড়লে আদালতের দ্বারস্থ হব আমরা”, বলেন ভিনেশ। তবে কুস্তিগিরদের লাগাতার বিক্ষোভের মুখে পড়েও ফেডারেশনের কর্তাকে সরানোর পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আগামী ২২ জানুয়ারি কুস্তি ফেডারেশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত থাকবেন অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ।
তবে বিজেপি সাংসদ হয়েও কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন ববিতা ফোগাট। ধরনাকারী কুস্তিগিরদের সঙ্গে দেখা করে তিনি বলেছেন, “আমাকে এই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়নি। কিন্তু সতীর্থদের অনেকের কাছেই এই অভিযোগ পেয়েছি। আমি সকলকে বলতে চাই যে সরকার আমাদের পাশে রয়েছে। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছি আমি।” অন্যদিকে, ধরনা মঞ্চে কুস্তিগিরদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বাম নেত্রী বৃন্দা কারাট। কিন্তু তাঁকে নেমে যেতে অনুরোধ করেন কুস্তিগিররা। কারণ খেলোয়াড়দের মঞ্চে রাজনীতিকে জায়গা দিতে চান না তাঁরা।