সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনে জয় এসেছে। কিন্তু বিশ্রামের সময় নেই। এবার পাখির চোখ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। সেদিকে তাকিয়েই যোগী আদিত্যনাথ ও তাঁর মন্ত্রিসভার সব মন্ত্রীকে জনসেবায় মন দিতে আরজি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সোমবারই নেপাল গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ওইদিনই অনেক রাতে যোগী ও উত্তরপ্রদেশের অন্যান্য বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকও সারেন প্রধানমন্ত্রী। জানা যাচ্ছে, এই বৈঠকেই এমন নির্দেশ তাঁর।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, বৈঠকে মোদি বলেন, সুশাসনই ক্ষমতার দরজাটা খুলে রাখে। আর সেদিকে তাকিয়েই যেন উত্তরপ্রদেশের সব মন্ত্রীরা নিজেদের জনসেবায় নিয়োজিত করেন। এরপরই তিনি মনে করিয়ে দেন, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আর বেশি সময় বাকি নেই। এখন থেকেই এর প্রস্তুতি শুরু করতে হবে।
[আরও পড়ুন: ‘শাড়ি পরতে পারেন না স্ত্রী’, মনের দুঃখে আত্মঘাতী মহারাষ্ট্রের যুবক]
এরই পাশাপাশি যেভাবে ‘বুলডোজার’ চালিয়ে দাঙ্গায় মদতদাতা ও অন্যান্য অপরাধীদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে যোগী সরকার, তারও প্রশংসা শোনা গিয়েছে মোদির মুখে।
উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়েছে বৈঠকে। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রশংসা করে বলেন, রাজ্যের পরিস্থিতি আগের থেকে অনেকটাই ভাল হয়েছে এখন। আর সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী যোগীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করেন তিনি। সেই সঙ্গে কোভিড মোকাবিলায় রাজ্যের পদক্ষেপেরও তুমুল প্রশংসা করেছেন মোদি।
উল্লেখ্য, ২০২২ বিধানসভায় ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করেছে বিজেপি। তবে জিতলেও উত্তরপ্রদেশে তাদের আসন কমেছে ৫৭টি। আগেরবার যেখানে বিজেপি একাই ৩১২টি আসন পেয়েছিল, সেখানে এবার তাদের দখলে গিয়েছে ২৫৫টি। তবুও এই জয়কে আলাদা গুরুত্ব দিতেই হয়েছে ওয়াকিবহাল মহলকে। কেননা দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভের ঝড় বয়ে যেতে দেখা গিয়েছে ভোটের আগে। তবু সেই ক্ষোভের প্রভাব পড়েনি ভোটবাক্সে। এবার সেই সাফল্যের রেশকে ধরে রেখে লোকসভা নির্বাচনে এগোতে চাইছে বিজেপি। যা পরিষ্কার হয়ে গেল মোদির নির্দেশে।