সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমের ফাঁদে জেরবার অবস্থা শচীন-সীমার পরিবারের। পুলিশের নির্দেশে গৃহবন্দি পাক ‘বধূ’ সীমা হায়দার, তাঁর ভারতীয় প্রেমিক (স্বামী) শচীন সিংহ এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা। এই অবস্থায় না খেয়ে মরার মতো অবস্থা তাঁদের, এমনটাই জানিয়েছেন শচীনের বাবা। বাইরে বেরোতে না পারায় রোজগার বন্ধ। ঘরে মজুত খাবারও ফুরিয়ে এসেছে বলে দাবি তাঁর।
সীমা হায়দার (Seema Haider) আসলে কে? ভারতীয় প্রেমিকের টানে সীমান্ত পার করে আসা সাধারণ বধূ, না পাক গুপ্তচর? উত্তর খুঁজছে পুলিশ। এই অবস্থায় সারাক্ষণ সংবাদমাধ্যমের নজরে শচীন-সীমা। বাড়ির বাইরে মিডিয়া কর্মীদের ভিড় লেগেই রয়েছে। এ সব কিছু এড়াতে নিজেদের বাড়িও ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন শচীনরা। গ্রেটার নয়ডার রবুপুরাতেই অন্য একটি বাড়িতে গিয়ে উঠেছেন। কার্যত ঘরবন্দি হয়েই কাটাতে হচ্ছে গোটা পরিবারকে।
[আরও পড়ুন: মসজিদের ভিতর নাবালিকাকে জোর করে চুমু মৌলবীর! ভিডিও ভাইরাল হতেই উঠল গ্রেপ্তারির দাবি]
সচিনের বাবা নেত্রপাল এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানান, পুলিশের নির্দেশের পর থেকেই ঘর ছেড়ে বেরোতে পারছেন না। এদিকে দিন আনি দিন খাই পরিবার, বাইরে না বেরোতে পারলে কাজ জোগাড় করা যাচ্ছে না। নেত্রপাল বলেন, “পরিস্থিতি খুব খারাপ। ঘরে খাবারও নেই।” এই অবস্থায় ঘটনার দ্রুত তদন্তের জন্য রাজ্য প্রশাসনের কাছে লিখিত আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘কত রান করেছিল আপনার ছেলে?’ পরিবারতন্ত্র নিয়ে শাহকে পালটা দিলেন স্ট্যালিনের ছেলে]
প্রসঙ্গত, ভিডিও গেম পাবজি খেলার সূত্রে আলাপ। নয়ডার (Noida) বাসিন্দা শচীনের প্রেমে পড়ে ভারতে এসেছেন, এমনটাই দাবি পাক যুবতী সীমার। নেপাল ঘুরে অবৈধভাবে ভারতে আসার অভিযোগে তাঁকে গত ৪ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে জামিন পেয়ে শচীনকে বিয়ে করেন তিনি। চার সন্তানকে নিয়ে নতুন শ্বশুরবাড়িতে সংসার শুরু করেন। তবে সীমার বিরুদ্ধে তদন্ত এখনও চলছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই পাক যুবতীর উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ বাড়ছে।