সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোদি পদবী নিয়ে মন্তব্যের দায়ে গুজরাটের আদালত (Gujarat Court) ২ বছর জেলের সাজা দিয়েছে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। এরপর লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার নির্দেশে বাতিল হয়েছে কংগ্রেস নেতার (Congress Leader) সাংসদ পদ। এমনকী সরকারি বাংলো ছাড়ার নোটিসও দেওয়া হয়েছে বিরোধী নেতাকে। কংগ্রেস-সহ প্রায় সমস্ত বিরোধী দলের বক্তব্য, গোটা প্রক্রিয়া বিরোধী কণ্ঠরোধের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এবার এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)। বর্তমানে প্রবাসে রয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) এক অধ্যাপককে ই-মেল করে ভারতে গণতন্ত্রের অস্তিত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন তিনি।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, শনিবার তাঁকে ই-মেল করেন নোবেলজয়ী। সুদীপ্তর দাবি, সাধারণত তাঁদের মধ্যে বিশ্বভারতী প্রসঙ্গে এবং অ্যাকাডেমিক বিষয়ে কথা হয়ে থাকে। কিন্তু বর্ষিয়ান অর্থনীতিবিদের এবারের অন্তর্জাল-চিঠিতে রাহুল গান্ধীর প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। অমর্ত্য জানতে চান, সত্যিই কি বিরোধী নেতা আর বিরোধিতা করতে পারবেন না? সুদীপ্ত জানান, “উনি ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে চিন্তিত।”
[আরও পড়ুন: মন্দার মাঝেই সুখবর, ইপিএফে বাড়ল সুদের হার]
এদিকে বিশ্বভারতী ও অর্মত্য সেনের জমিজট অব্যাহত। সপ্তাহ দুয়েক আগে নতুন করে নোবেলজয়ীকে উচ্ছেদের নোটিস ধরিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চিঠি পাঠিয়ে আগামী ২৯ মার্চ অমর্ত্য সেন বা তাঁর কোনও প্রতিনিধিকে বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অ্যাডমিশন বিল্ডিংয়ের কনফারেন্স হলে হাজির হতে বলা হয়েছে। সেখানেই হবে শুনানি। এর মধ্যেই মঙ্গলবার বিশ্বভারতীতে আসার কথা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (Droupadi Murmu)। সোমবার রাজ্য সফরে এসেছেন তিনি।