সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলের মধ্যে পড়ুয়াকে যৌন হেনস্তা। কিন্তু অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া তো দূর, তাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করল স্কুল কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতা শিশুর পরিবারকেও সাফ নির্দেশ দিয়ে দিল যেন গোটা বিষয়টি চেপে যাওয়া হয়। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের বদলাপুরের স্কুলে দুই শিশুর যৌন হেনস্তার ঘটনায় ব্যাপক আন্দোলন হয়েছিল সেরাজ্যে। তার মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে নয়ডার স্কুলের এই ঘটনা।
জানা গিয়েছে, দিনকয়েক আগে ৬ বছর বয়সি এক ছাত্রীকে স্কুলের মধ্যেই যৌন হেনস্তা করে এক কর্মী। নতুন ভবন তৈরির কাজে ওই সিবিএসই অনুমোদিত স্কুলে এসেছিল অভিযুক্ত। সিসিটিভি না থাকা এলাকায় ওই শিশুটিকে নিয়ে গিয়ে তাকে যৌন হেনস্তা করে সে। তার পরেই স্কুলে শিক্ষকদের কাছে গোটা বিষয়টি জানায় ওই ছাত্রী। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে গুড টাচ-ব্যাড টাচের বিষয়ে তাদের শেখানো হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: শারীরিক অবস্থার অবনতি, ভেন্টিলেশনে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি]
পড়ুয়ার অভিযোগ পেয়েই তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ছাত্রীর অভিভাবককে জানানো হয়, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাই এই বিষয়টি নিয়ে পরিবারের তরফে আর কোনও পদক্ষেপ করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু গত মঙ্গলবার থানায় গিয়ে নির্যাতিতা শিশুর বাবা জানতে পারেন, এমন কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি স্কুলের তরফে। বরং অভিযুক্ত পালিয়ে গিয়েছে।
তার পরেই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ দায়ের করেন শিশুটির বাবা। তাঁর দাবি, গোটা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে স্কুলের সুনামের দোহাই দিয়ে। কিন্তু তাঁর কন্যা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অভিযোগ পাওয়ার দুদিনের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত, স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং শিক্ষকের পাশাপাশি আটক করা হয়েছে এক কন্ট্রাকটরকেও। তাঁর অধীনেই কর্মরত ছিল অভিযুক্ত। পুলিশের মতে, তিনজন মিলে অভিযুক্তকে পালাতে সাহায্য করেছিলেন। আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন চারজন।