সুব্রত বিশ্বাস: সাড়ে আট মাস পর জেলায় লোকাল ট্রেনের (Local Train) চাকা গড়াল। বুধবার থেকে জেলাগুলির মধ্যে যোগাযোগকারী ট্রেন চলতে শুরু করল। তবে সেই সংখ্যাটা নিতান্তই কম। উপরন্তু স্পেশ্যাল তকমা জুড়ে বহু ট্রেনের ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে। যা নিয়ে নিত্যযাত্রীদের ক্ষোভ তুঙ্গে উঠেছে।
অপর্যাপ্ত ট্রেনের ভোগান্তি নিয়ে সাড়ে আট মাস বাদে যাত্রা করলেন জেলার মানুষজন। এই পরিষেবা চালু হওয়ায় বীরভূম, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদের মানুষজনের সুবিধা হল। বর্ধমান-রামপুরহাটের মধ্যে চার জোড়া, কাটোয়া-আজিমগঞ্জের মাঝে চার জোড়া, আজিমগঞ্জ-রামপুরহাটের মধ্যে তিন জোড়া, রামপুরহাট-গুমানির মাঝে সাগর জোড়া ও রামপুরহাট-জসিডির মাঝে একজোড়া ট্রেন চালু হয়েছে। তবে রামপুরহাট থেকে বিহারের তিন পাহাড় পর্যন্ত একটি মাত্র ট্রেন দেওয়ায় বীরভূমের মুরারই, রাজগ্রাম-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন অসুবিধার মধ্যে পড়ে রইলেন।
[আরও পড়ুন : ‘যুবকরা বুড়ো খোকাদের কথা শুনছে না’, শুভেন্দুকে নিয়ে জল্পনার মাঝে তৃণমূলকে খোঁচা দিলীপের]
রাজগ্রামের সন্তোষপুরের বাসিন্দা গাউস আলির কথায়, “রামপুরহাটের পর থেকে একটি মাত্র লোকাল শুরু হওয়ায় সেই সমস্যা রয়ে গেল। রাজগ্রাম, পাকুড়ে স্টোন কোয়েরির বহু শ্রমিক কাজ করে তাঁরা যেমন অসুবিধায় রয়েছেন, তেমনই ছোট দোকানি থেকে, পড়ুয়া, সরকারি কর্মচারী থেকে শিক্ষকরা অসুবিধার মধ্যে থেকেই যাবেন।” বর্ধমান, বীরভূমের মানুষজনের দাবি, বর্ধমান-মালদহ টাউন প্যাসেঞ্জার চালু হোক শীঘ্র।
লালগোলা প্যাসেঞ্জার চালু না হলেও লালগোলা যাওয়ার জন্য ভাগীরথী এক্সপ্রেস চালু হয়েছে। তবে স্পেশ্যালের তকমা দিয়ে ভাড়া বাড়িয়েছে রেল। সব সংরক্ষিত সিট। ভাড়া বেড়ে সিটিংয়ের চার্জ ১১৫ টাকা। এসি চেয়ার ৪৮০ টাকা হওয়ায় যাত্রীরা অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন। রেলের এই ভাড়া বাড়ানোর পদ্ধতিকে অনৈতিক বলে দাবি করেছে রেলের কর্মী সংগঠন।
পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, “ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কোচিং অ্যাসোসিয়েশন রেলবোর্ডের নির্দেশে ফেয়ার টেবিল তৈরি করে। বাজার যাচাই করার পাশাপাশি কোন শ্রেণির যাত্রী ট্রেনে চড়বেন তা যেমন দেখে, তেমনই সার্ভিসের জন্য ব্যবসার জন্য তা দেখে ফেয়ারটেবিল বানায়। এই ধরনের কোনও ফেয়ার টেবিল ছাড়াই এবার ট্রেনের ভাড়া বেড়েছে।”
[আরও পড়ুন : ভোটযুদ্ধের আগে ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিম বিজেপির, ইস্তেহার কমিটির ইনচার্জ অনুপম হাজরা]
২০ নভেম্বরের পর চালু ট্রেনগুলি ভাড়া অস্বাভাবিক ভাবে বাড়ানো হয়েছে। এটা সাধারণ মানুষের উপর অনৈতিক চাপ বলে অমিতবাবু ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পূর্ব রেলের কমার্শিয়াল বিভাগের সাফাই, রেল বোর্ডের আইন অনুযায়ী স্পেশ্যাল ট্রেনের ভাড়া সাধারণ ট্রেনের থেকে বেশি।