দীপঙ্কর মণ্ডল: শিক্ষক-সহ বেশ কিছু নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। জল গড়িয়েছে আদালতে। এসবের মাঝে বড়সড় সিদ্ধান্ত। এবার থেকে কলেজের অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও হবে লিখিত পরীক্ষা।
এতদিন শুধু অধ্যক্ষ, অধ্যাপক, এবং গ্রন্থাগারিক নিয়োগের দায়িত্ব ছিল কলেজ সার্ভিস কমিশনের (West Bengal College Service Commission) হাতে। কয়েক মাস আগে কমিশনকে অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে। পরীক্ষায় পাসের পর হবে ইন্টারভিউ। তারপর মিলবে চাকরি। কলেজের পরিচালন সমিতি এতদিন অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ করত। মঙ্গলবার উচ্চশিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিচালন সমিতির হাতে আর কর্মী নিয়োগের দায়িত্ব থাকছে না।
[আরও পড়ুন: বিতর্কের মাঝেই শ্রাবণ মাসে কালীপুজোর আয়োজন বিজেপির, পালটা খোঁচা মহুয়ার]
জানা গিয়েছে, দশ বছরের পুরনো নির্দেশকা কার্যকর করে কমিশনের হাতে পূর্ণ দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে। কলেজের অধ্যাপক, অধ্যক্ষ ও গ্রন্থাগারিক নিয়োগের পাশাপাশি অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের দায়িত্বও পেয়েছে কমিশন। কলেজগুলি নিজেরাই শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করায় বেশকিছু ক্ষেত্রে স্বজনপোষণের অভিযোগ ওঠে। জানা গিয়েছে, নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর কলেজে ক্লার্ক, অ্যাকাউন্টেন্ট, গ্রুপ সি ও গ্রুপ-ডি, পদে নিয়োগের প্রস্তুতি শুরু করেছে কমিশন। নিয়োগের বিধি তৈরির কাজ শেষ।
নবান্নের সবুজ সংকেত পেলেই কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে। কর্মী নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের পর প্যানেল প্রকাশ হবে। উচ্চশিক্ষা দপ্তর ২০১২ সালে কমিশনকে কর্মী দায়িত্ব দিয়ে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছিল। কিন্তু তা এতদিন কার্যকর হয়নি। স্কুলে শিক্ষক ও কর্মী নিয়োগ নিয়ে নানা অভিযোগ সামনে আসার পর সিদ্ধান্ত হয় পুরনো নির্দেশিকা কার্যকর করে কমিশনের মাধ্যমে কলেজের কর্মী নিয়োগ করা হবে।