অর্ণব দাস, বারাসত: কোভিড গ্রাফ বৃদ্ধির মাঝেই উত্তরবঙ্গে উদ্বেগ বাড়িয়েছে নাইরোবি ফ্লাই বা অ্যাসিড পোকার আতঙ্ক। এবার পোকার দেখা মিলল উত্তর ২৪ পরগনা। পোকা গায়ে বসতেই চামড়া পুড়ল অশোকনগরের বাসিন্দা নিহার বাগচীর। সোশ্যাল মিডিয়ায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে বেশ পরিচিত নিহার ওরফে ‘মাঞ্চু দাদা’।
জানা গিয়েছে, গত ৩০ জুন সন্ধেয় নিহার বাইক চালিয়ে হাবড়ার জয়গাছির দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকা তাঁর চোখের কোনায় একটি পোকা এসে পড়ে। তখনই পোকাটিকে তিনি মেরে দেন। কিন্তু তখনও নিহার বুঝতে পারেনি, ওইটাই সেই নাইরোবি ফ্লাই বা অ্যাসিড পোকা। সেই সময় থেকেই চোখের কোনায়, মুখে জ্বালা করছিল যুবকের। বিষয়টিকে অতটা গুরুত্ব না দিয়ে তিনি বাড়ি ফেরেন। রাতেই জ্বালাটা কিছুটা বাড়ে, তবুও ঘুমিয়ে পড়েছিলেন নিহার।
[আরও পড়ুন: ৩ তৃণমূল নেতা খুনের পর থেকে থমথমে ক্যানিং, আটক দুই মহিলা, ৬ অভিযুক্তের নামে FIR]
হঠাৎই মাঝরাতে ঘুম ভাঙলে তিনি দেখেন, মুখ বীভৎস ফুলেছে। এরপর সকালে বিষয়টি জানতে ইন্টারনেটে সার্চ শুরু করেন। তখন তিনি দেখতে পান নাইরোবি ফ্লাইয়ের ছবি। চোখের কোনায় বসার পর যেই পোকাটিকে নিহার মেরেছিলেন, তার সঙ্গে হুবহু মিলে যায় ওই অ্যাসিড পোকার। এরপর আর দেরি না করে সে চোখের ডাক্তারের কাছে যান তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শ ওষুধ খাওয়া শুরু করেন। একদিন পর তিনি দেখেন মুখের একটা অংশ পুড়ে যাওয়ার মত হয়ে গিয়েছে। তারপর আবার তিনি আবার চিকিৎসার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এখন অনেকটাই সুস্থ নিহার। তাঁর জ্বর বমি বা অন্য কোন লক্ষণ দেখা যায়নি। তবে খাবারের প্রতি এখনও অনীহা রয়েছে। এ বিষয়ে নিহার বাগচী বলেন, “পোকাটিকে মারার পরে হাত শরীরের যে যে জায়গায় লেগেছিল, এই জায়গা গুলি সংক্রমিত হয়েছে। এই পোকা শরীরে এসে বসলে মারবেন না। মারার পরে পোকার শরীর থেকে বের হওয়া রস যে যে জায়গায় লাগে, তা সংক্রমিত হয়। যদি ভুলবশত মেরেও ফেলা হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে জল দিয়ে ধুয়ে নেওয়া উচিত। তবে এই নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সতর্কতা অবলম্বন করলেই হবে। আক্রান্ত হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।”