সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের আকাশসীমা পেরিয়ে ঢুকে পড়েছে মার্কিন বিমান, বিস্ফোরক অভিযোগ আনল উত্তর কোরিয়া (North Korea)। সেদেশের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, দেখামাত্র গুলি কর নামিয়ে দেওয়া হবে মার্কিন বিমানগুলি। নজরদারি বিমান পাঠিয়ে আসলে অশান্তি তৈরি করতে চাইছে আমেরিকা (USA), এমনই অভিযোগ কিম জং উনের (Kim Jung Un) দেশের। বেশ কয়েকদিন আগেই উত্তর কোরিয়া দাবি করেছিল, দেশের আশেপাশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করছে আমেরিকা। যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে মার্কিন সেনা।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদসংস্থায় একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে সেদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সেখানেই বলা হয়, “সোমবার দেশের আকাশসীমা পেরিয়ে ঢুকে পড়েছে বেশ কয়েকটি মার্কিন বিমান। দেশজুড়ে নজরদারি চালাতেই এই বিমান পাঠিয়েছে আমেরিকা।” দেখামাত্র গুলি করে বিমান নামানো হবে বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে কিমের প্রশাসন। তবে এখনও কোনও বিমান ধ্বংস করা হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি। উত্তর কোরিয়ায় নজরদারি বিমান পাঠানো নিয়ে মুখ খোলেনি আমেরিকাও।
[আরও পড়ুন: পাঁচশো-হাজার ‘ঘুষে’ই মেট্রোর লাখো টাকার লোহা-তামা চুরি! গ্রেপ্তার ৩ নিরাপত্তারক্ষী]
কিমের দেশের বিবৃতিতে সাফ দাবি করা হয়েছে, কোরীয় উপদ্বীপ এলাকায় অযথা শান্তিভঙ্গের চেষ্টা চালাচ্ছে আমেরিকা। কেউই চান না কোরিয়ার আশেপাশের পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যাক। যদি আগামী দিনে যুদ্ধের মতো গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি হয়, তার জন্য দায়ী একমাত্র আমেরিকাই। কোরীয় উপদ্বীপ সংলগ্ন এলাকায় পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করেছে মার্কিন প্রশাসন, তার জেরে এলাকার শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই ওয়াশিংটনের তরফে জানানো হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) মাটিতে ব্যালিস্টিক মিসাইল মোতায়েন করা হবে। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের পালটা দিতে পারবে এই মিসাইল। ১৯৮০ সালের পর এই প্রথমবার এমন পদক্ষেপ করতে চলেছে আমেরিকা। যদিও কবে এই মিসাইল দক্ষিণ কোরিয়া পৌঁছবে, তা এখনও জানা নেই। তবে মিসাইল পোঁছনোর আগেই আমেরিকার সঙ্গে কিমের দেশের ঠাণ্ডা লড়াইয়ের উত্তাপ বাড়ছে।