সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে চলছে হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধ। অন্যদিকে জারি রয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের লড়াই। এর মাঝে চুপ বসে নেই উত্তর কোরিয়াও। নিজেদের সেনার শক্তি বাড়াতে ক্রমাগত ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষানিরিক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে পিয়ংইয়ং। এবার মিসাইল প্রযুক্তিতে যোজন এগিয়ে গেল কিম জন উনের দেশ। কারণ হাতে 'ব্রহ্মাস্ত্র'! কী সেই অস্ত্র?
কয়েকদিন আগেই উত্তর কোরিয়া থেকে থেকে ঘুরে গিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেদেশের রাষ্ট্রপ্রধান কিম জনের সঙ্গে সামরিক চুক্তিও করেছেন পুতিন। আমেরিকার দাবি, দুদেশই অত্যাধুনিক হাতিয়ারের আদানপ্রদান করছে। এই আবহে সোমবার অতিবৃহৎ আণবিক বোমা বহনে সক্ষম মিসাইলের পরীক্ষা করেছে পিয়ংইয়ং। যা সফলও হয়েছে। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ। জানা গিয়েছে, ওই একেকটি বোমার ওজন প্রায় ৪.৫ টন। যা বহুদূর পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম। সমর বিশ্লেষকদের মতে, আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়াকে চোখ রাঙিয়ে এই হাতিয়ার তৈরি করেছেন কিম। গত বছরের ডিসেম্বরে শত্রু দেশে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সাফ বার্তা ছিল, প্রতিপক্ষ যদি পরমাণু অস্ত্রের আস্ফালন করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে তাহলে আক্রমণ শানাতে পিছপা হবে না উত্তর কোরিয়া।
[আরও পড়ুন: মাটির নিচে ধ্বংস হামাসের ডেরা, কয়েক কিলোমিটারে জুড়ে সমাধি শতাধিক জঙ্গির!]
উল্লেখ্য, প্রতিপক্ষকে যোগ্য জবাব দিতে নিজেদের অস্ত্রাগার সম্প্রসারণ করছে উত্তর কোরিয়া। উন্নত যুদ্ধাস্ত্রের পরীক্ষা চলছে। এর মাঝেই কিমের দেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে জাপান, আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া। এই ত্রিপাক্ষিক মহড়ার জন্য সাগরে একটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরী মোতায়েন করা হয়েছিল। যার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল পিয়ংইয়ংয়ের তরফে। এই পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে দুটি ব্যালিস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ওই সামরিক মহড়ার পালটা দিতেই এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছিল কিমের দেশ। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়া বিবৃতি দিয়ে জানায়, উত্তর কোরিয়ার এই পরীক্ষা ব্যর্থ হয়েছে।
বলে রাখা ভালো, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অস্ত্রশস্ত্র ও মিসাইল তৈরি হচ্ছে উত্তর কোরিয়ায়। গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন সর্বাধিনায়ক কিম। নিজেই ঘুরে দেখছেন বিভিন্ন অস্ত্র তৈরির কারখানা। নির্দেশ দিয়েছেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কৌশলগত দিক থেকে ও অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত থাকাই এখন কিমের দেশের লক্ষ্য।