সুব্রত বিশ্বাস: মশা মারতে এবার কামান দাগতে এগিয়ে এল রেল। নর্দান রেলে প্রথম এই ব্যবস্থা শুরু হলেও আগামী দিনে অন্য রেলও এই পরিষেবা দিতে এগিয়ে আসবে। তবে রেলকে সহযোগিতা করতে হবে অবশ্যই স্থানীয় পুরসভাকে।
[ফের মেঘভাঙা বৃষ্টি কেরলে, পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা]
রেল বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লিতে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ কমাতে সাউথ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের আবেদনে নর্দান রেল এই পরিষেবাতে আগ্রহী হয়। সম্প্রতি পরিষেবা দিতেও শুরু করেছে ওই রেল। প্রাথমিকভাবে রিং-রেলকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। হজরত নিজামুদ্দিন, লাজপাত নগর, সেওয়া নগর, লোদি কলোনি, দিল্লি সফদরজং, প্রর স্কোয়ার, ইন্দপুরী, প্যাটল নগর, দয়া বস্তি, দিল্লির কিষানগঞ্জ, সদর বাজার ও নিউ দিল্লি-এই রিং রেলের আশপাশে ঘনবসতি এলাকায় মশার উপদ্রবে নাজেহাল মানুষজন। এই অঞ্চলগুলির মশার বংশ ধ্বংস করতে এবার এগিয়ে এল রেল। স্থানীয় কর্পোরেশনের সহযোগিতায় নর্দান রেলের অভিযান ‘মশকিউটো টার্মিনেটর’।
[বাজপেয়ীর শেষকৃত্যে পাক প্রতিনিধিদলে হেডলির ভাই, ক্ষুব্ধ সাউথ ব্লক]
মশার বংশ ধ্বংস করতে এই অভিযানে একেবারে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। ওয়াগনে চড়ানো হচ্ছে আস্ত ট্রাক। যাতে ফিট করা হয়েছে স্প্রেয়ার। তবে সাধারণ ওয়াগন নয়। ডিবিকেএল ওয়াগন যাকে ওয়েল ওয়াগন বলে। মধ্যিখানে নিচু। কারণ এই ওয়াগনে ট্রাক চড়ানো হলে ট্রাক ওভারহেডে ঠেকবে না। যা সাধারণ ওয়াগনে সম্ভব নয়। এই ওয়াগনের উপরের ট্রাক থেকে বেরিয়ে আসা স্প্রে লাইনের আশপাশের ৫০-৬০ মিটার দূরের মশা ও লার্ভাকে নিধন করতে সক্ষম। লাইন ধারে অ্যাপ্রোচ-রোড না থাকায় ট্রাক সেখানে গিয়ে এই কর্মযজ্ঞ চালাতে পারে না। তাই রেলকেই এগিয়ে আসতে হল মশা মারার জন্য।
[সন্ধের পর এটিএমগুলিতে টাকা ভরবে না ব্যাংক, নতুন নির্দেশ কেন্দ্রের]
কলকাতা ও আশপাশে ডেঙ্গুর প্রকোপ। মশা মরতে চক্র রেলেও এই ব্যবস্থার আয়োজন করা সম্ভব বলে মনে করেছে রেল কর্তাদের একাংশ। লাইনের ধারে অ্যাপ্রোচ-রোড থাকলেও ট্রাকে করে এই মশা মারার হ্যাপা রয়েছে। খরচও বেশি৷ তাই ওয়াগনের এই পদ্ধতি কম খরচে বেশি কাজ করবে বলে মনে করেছে রেল কর্তাদের একাংশ। তবে কর্পোরেশনের আগ্রহ থাকলেই রেল এই মশা নিধনে নামবে।