সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ থেকেই দেশে শুরু হয়েছে করোনার (Coronavirus) টিকাকরণ। তার মধ্যেই নরওয়ে (Norway) থেকে যা খবর পাওয়া যাচ্ছে তা উদ্বেগজনক। সেখানে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন (COVID vaccine) নেওয়ার পরে ২৩ জনের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে। মৃতদের সকলেরই বয়স আশির উপরে। সেই সঙ্গে আরও অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন টিকাকরণের পরেই। নরওয়ে জুড়ে এখন তাই ভ্যাকসিন আতঙ্ক। যদিও সেখানে বিতর্ক ঘনিয়েছে ফাইজার ভ্যাকসিনকে (Pfizer vaccine) কেন্দ্র করে। ভারতে দেওয়া হচ্ছে সেরাম ইন্সটিটিউটের কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন।
গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়েছে নরওয়ের টিকাকরণ। যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন ডাক্তাররা। অসুস্থ ও বয়স্কদের এই ভ্যাকসিন নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না ফাইজার ভ্যাকসিনের কারণেই ওই ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁদের ১৩ জনের ক্ষেত্রেই ডায়েরিয়া, জ্বর ও শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ ছিল, যা এই ভ্যাকসিনেরই সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার উপসর্গ। নরওয়ের মেডিসিন এজেন্সি জানিয়েছে, যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁরা ছাড়াও অন্তত ন’জনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে অ্যালার্জির লক্ষণ রয়েছে। রয়েছে জ্বরও। এছাড়া সাধারণ ভাবে অনেকেরই ভ্যাকসিন দেওয়ার স্থানে ব্যথা হওয়ার কথা জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: দেশে ফিরলেই গ্রেপ্তার করা হবে নাভালনিকে, ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রুশ বিরোধী নেতার]
নরওয়ে সরকার অশীতিপরদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। জানানো হয়েছে, অত বেশি বয়সের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন খুব বেশি লাভজনক নাও হতে পারে। এখনও পর্যন্ত সেদেশের ৩০ হাজার মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন। পরিস্থিতি দেখে কিছুটা সতর্ক ফাইজারও। ইতিমধ্যেই ইউরোপের বহু জায়গায় ভ্যাকসিন সরবরাহে রাশ টেনেছে তারা। প্রতি বছর দু’শো কোটির জায়গায় ১৩০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে সংস্থার তরফে।