সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা নিয়ে নতুন করে বিবৃতি দিলেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন জানান, একটি মন্দিরও ধ্বংস হয়নি। ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে চারজন মুসলিম, ২ জন হিন্দু। মন্দিরে হামলার আড়ালে কোনও নারী নির্যাতিতা হননি। তবে তিনি এও স্বীকার করে নিয়েছেন, দেবীমূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তাঁর দাবি, সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি অবশ্য সংবাদমাধ্যমকেও দুষেছেন এ কে আবদুল মোমেন (AK Abdul Momen)।
দুর্গাপুজোর মরশুমে ওপার বাংলায় মণ্ডপ, মন্দিরে হামলা, মূর্তি ভাঙচুরের মতো ঘটনায় সাম্প্রদায়িক অশান্তির আগুন জ্বলে উঠেছিল। ইসকন মন্দিরে ঢুকে এক পুরোহিতকে খুনের মতো ঘটনাও ঘটে। এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায় আন্তর্জাতিক মহলে। দেশের মধ্যে দাঙ্গা পরিস্থিতি রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেয় শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) প্রশাসন। অভিযুক্তদের দ্রুত ধরপাকড় হয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এর মাঝে অবশ্য দেশে সম্প্রীতি বজায় রাখতে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী হাসিনা থেকে শুরু করে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা জনতার কাছে আবেদন জানান। সংখ্যালঘু হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়ে সুবিচারের আশ্বাস দেন। তবু অশান্তির আগুন যেন কিছুতেই নিভছিল না।
[আরও পড়ুন: ভাইফোঁটার আগেই সুখবর, দ্বিতীয় দফায় ওপার বাংলা থেকে রাজ্যে এল ২২ টন ইলিশ]
মোমেনের আরও বক্তব্য, ”আমরা সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। পুলিশ প্রশাসন যথেষ্ট তৎপর। দেশের প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী, তাঁদের ধর্মবিশ্বাস নিরপেক্ষভাবে সকলের নিরাপত্তা প্রদানে আমরা বদ্ধপরিকর।” ষষ্ঠীর দিন রাতে নোয়াখালিতে হনুমানজির পদতলে কোরান রাখা নিয়ে যে হিংসার আগুন জ্বলে উঠেছিল, সেই ঘটনারও তদন্ত চলছে বলে মোমেন জানান। ওই ঘটনায় কোনও হিন্দু নন, এক মুসলিম যুবকই অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছে।
যদিও আবদুল মোমেনের এই বিবৃতির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসকন কর্তৃপক্ষ, আরএসএসও। ইসকনের প্রধান মুখপাত্র বেণুবিজয় দাসের বক্তব্য, ”সবাই দেখেছেন কীভাবে মন্দির ভাঙা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রীর বিবৃতি মিথ্যা।” আরএসএসের প্রতিক্রিয়া, এটি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের প্রতি সুপরিকল্পিত, ষড়যন্ত্রমূলক আক্রমণ।