shono
Advertisement

Breaking News

‘একটি মন্দিরও ধ্বংস হয়নি’, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অশান্তি নিয়ে নতুন বিবৃতি বিদেশমন্ত্রীর

সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, খতিয়ান বিদেশমন্ত্রকের।
Posted: 01:46 PM Oct 29, 2021Updated: 02:44 PM Oct 29, 2021

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা নিয়ে নতুন করে বিবৃতি দিলেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন জানান, একটি মন্দিরও ধ্বংস হয়নি। ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে চারজন মুসলিম, ২ জন হিন্দু। মন্দিরে হামলার আড়ালে কোনও নারী নির্যাতিতা হননি। তবে তিনি এও স্বীকার করে নিয়েছেন, দেবীমূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তাঁর দাবি, সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি অবশ্য সংবাদমাধ্যমকেও দুষেছেন এ কে আবদুল মোমেন (AK Abdul Momen)।

Advertisement

দুর্গাপুজোর মরশুমে ওপার বাংলায় মণ্ডপ, মন্দিরে হামলা, মূর্তি ভাঙচুরের মতো ঘটনায় সাম্প্রদায়িক অশান্তির আগুন জ্বলে উঠেছিল। ইসকন মন্দিরে ঢুকে এক পুরোহিতকে খুনের মতো ঘটনাও ঘটে। এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায় আন্তর্জাতিক মহলে। দেশের মধ্যে দাঙ্গা পরিস্থিতি রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেয় শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) প্রশাসন। অভিযুক্তদের দ্রুত ধরপাকড় হয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এর মাঝে অবশ্য দেশে সম্প্রীতি বজায় রাখতে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী হাসিনা থেকে শুরু করে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা জনতার কাছে আবেদন জানান। সংখ্যালঘু হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়ে সুবিচারের আশ্বাস দেন। তবু অশান্তির আগুন যেন কিছুতেই নিভছিল না।

[আরও পড়ুন: ভাইফোঁটার আগেই সুখবর, দ্বিতীয় দফায় ওপার বাংলা থেকে রাজ্যে এল ২২ টন ইলিশ]

এই অবস্থায় শুক্রবার বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন নতুন করে বিবৃতি দিয়েছেন। ঠিক কী কী ঘটনা ঘটেছে, তা বিস্তারিত জানিয়ে সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করেছেন হাসিনা সরকারের বিদেশমন্ত্রী। তাঁর মতে, সংবাদমাধ্যম এবং কয়েকজন অত্যুৎসাহী ব্যক্তি কিছু ‘গল্প’ বানিয়ে ভুয়ো প্রচারে নেমেছে, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। মোমেন জানান, ”সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনায় একটি মন্দিরও ধ্বংস হয়নি। মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে ৪ জন মুসলিম, ২ জন হিন্দু। একজনের মৃত্যু স্বাভাবিক, আরেকজন প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে মারা গিয়েছেন। কোনও নারী ধর্ষিত হননি।”

মোমেনের আরও বক্তব্য, ”আমরা সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। পুলিশ প্রশাসন যথেষ্ট তৎপর। দেশের প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী, তাঁদের ধর্মবিশ্বাস নিরপেক্ষভাবে সকলের নিরাপত্তা প্রদানে আমরা বদ্ধপরিকর।” ষষ্ঠীর দিন রাতে নোয়াখালিতে হনুমানজির পদতলে কোরান রাখা নিয়ে যে হিংসার আগুন জ্বলে উঠেছিল, সেই ঘটনারও তদন্ত চলছে বলে মোমেন জানান। ওই ঘটনায় কোনও হিন্দু নন, এক মুসলিম যুবকই অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছে। 

যদিও আবদুল মোমেনের এই বিবৃতির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসকন কর্তৃপক্ষ, আরএসএসও।  ইসকনের প্রধান মুখপাত্র বেণুবিজয় দাসের বক্তব্য, ”সবাই দেখেছেন কীভাবে মন্দির ভাঙা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রীর বিবৃতি মিথ্যা।” আরএসএসের প্রতিক্রিয়া, এটি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের প্রতি সুপরিকল্পিত, ষড়যন্ত্রমূলক আক্রমণ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement