shono
Advertisement

‘ইন্ডিয়া নয়, বলুন আইএনডিআইএ জোট’, দলীয় সাংসদদের নির্দেশ মোদির

ভোটপ্রচারেও এই নামে আক্রমণ শানানোর নির্দেশ।
Posted: 10:42 AM Aug 02, 2023Updated: 10:42 AM Aug 02, 2023

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: ‘ইন্ডিয়া’ (INDIA) জোটের নাম নিয়ে বেকায়দায় গেরুয়া শিবির। চাপে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Narendra Modi)। তাই বিরোধীদের সমালোচনা করতে গিয়ে ‘ইন্ডিয়া’ শব্দ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার রাতে বঙ্গ বিজেপি (BJP) সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে তাঁর নির্দেশ ‘ইন্ডিয়া’ নয়, বলুন আইএনডিআইএ জোট। ভোটপ্রচারে এই নামেই আক্রমণ শানানোর নির্দেশ দেন মোদি। সেই সঙ্গে বাদল অধিবেশন শেষ হলেই নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায় ফিরে গত দশ বছর কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ধারাবাহিক প্রচার করার পাশাপাশি ইউপিএ জমানার দুর্নীতি নিয়েও ব্যাপক প্রচার চালানোর নির্দেশ দেন বলে সূত্রের খবর। তবে স্থানীয় ইস্যুতেও তিনি জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন বলে জানান উত্তরবঙ্গের এক সাংসদ।

Advertisement

বৈঠকের শুরুতেই চারটি ভিডিও দেখানো হয় উপস্থিত তিন রাজ্যের সাংসদ এবং প্রতিটি রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় বিজেপির দায়িত্ব পাওয়া নেতাদের। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মোদি সরকার কী কী প্রকল্প এনেছে, তাতে কতটা সাফল্য এসেছে, মোটের উপর এই সব বিষয় ছিল প্রথম ভিডিওতে। এর পরে রাজ্যওয়াড়ি ছোট ছোট ভিডিও দেখানো হয়। বাংলার ভিডিওতে এই রাজ্যে আবাস যোজনা থেকে বিমানবন্দর নির্মাণ, বন্দে ভারত ট্রেন থেকে মেট্রো রেল ইত্যাদি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলায় তৃণমূল সরকার কী ভাবে রাজ্য পরিচালনা করছে, তা দেখাতে গিয়ে বিজেপির তোলা দুর্নীতির অভিযোগের কথাও ছিল ভিডিওতে।

[আরও পড়ুন: সেপটিক ট্যাঙ্ক সাফাই করতে নেমেছিলেন, দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু ৩ শ্রমিক ও গৃহকর্তার]

বৈঠকে উপস্থিত এক বিজেপি সাংসদ বলেন, “ভিডিও দেখেই বোঝা গিয়েছিল কেমন ভাবে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার চাইছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।” শাহ কিংবা রাজনাথ সার্বিক ভাবে বুথ শক্তিশালী করা, দলের মধ্যে সমন্বয় রাখার কথা বললেও প্রচার পদ্ধতির মূল সুর কী হবে, তার ব্যাখ্যা দেন মোদি। তিনি জানিয়ে দেন, রামজন্মভূমি বা ৩৭০ ধারার বিলোপের মতো বিষয়কে প্রচারে ততটা গুরুত্ব না দিয়ে প্রতিটি রাজ্যের স্থানীয় বিষয় এবং কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিতে কী কী কাজ করেছে সে কথা বলতে হবে। একই সঙ্গে সেই রাজ্যের সরকার কোথায় কোথায় ব্যর্থ, সেই বিষয় প্রচারে প্রাধান্য দিতে হবে। সেই সঙ্গে প্রত্যেক সাংসদকে দু’টি করে রিপোর্ট দিতে বলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।

[আরও পড়ুন: ছুটি না পেয়েই মেজাজ হারান অভিযুক্ত RPF জওয়ান চেতন! দাবি সহকর্মীর]

একটি সাংগাঠনিক ও আরেকটি প্রশাসনিক। সাংগাঠনিক রিপোর্টে বুথ থেকে জেলাস্তর পর্যন্ত সংগঠন কী অবস্থায় রয়েছে তার উল্লেখ থাকতে হবে। আর প্রশাসনিক রিপোর্টে সংসদীয় এলাকায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের পাশাপাশি সাংসদ তহবিলের অর্থে কী কী কাজ হয়েছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন বলে জানান বৈঠকে উপস্থিত এক সাংসদ। সেই সঙ্গে সংসদীয় এলাকায় আর কোনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রয়োজন রয়েছে কি না তাও জানাতে হবে বলে নির্দেশ দেন নাড্ডা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement