সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়লা, লৌহ আকরিক-সহ যাবতীয় খনিজ সম্পদ থেকে রয়্যালটি বাবদ আয় করতে পারবে রাজ্যগুলি। বৃহস্পতিবার এমনই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এতদিন শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার একতরফা এই রয়্যালটি আদায় করত। এই রায়ের ফলে উপকৃত হবে খনিজ সম্পদশালী ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলি।
বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে নয় বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। শীর্ষ আদালতেরই ১৯৮৯ সালের একটি রায় খারিজ করে বেঞ্চ জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি। সেখানে আরও বলা হয়েছে, "রয়্যালটির সঙ্গে করের কোনও সম্পর্ক নেই।" নয় বিচারপতির মধ্যে একজন, বিচারপতি বি ভি নাগরত্না সহমত হননি বাকিদের সঙ্গে।
[আরও পড়ুন: কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারামেডিক্যাল কোর্সে ভর্তি চলছে, কীভাবে করবেন আবেদন?]
এদিন প্রধান বিচারপতি বলেছেন, "খনি ও খনিজ উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ আইন (এমএমডিআর) কর সংগ্রহের জন্য রাজ্যগুলির ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করে না। খনিজ ও খনি জমির উপর কর আদায়ের সম্পূর্ণ অধিকার রাজ্যগুলির রয়েছে।” সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের আটজন বিচারপতির মতে, “সংবিধানের দ্বিতীয় তালিকায় ৫০ নম্বর এন্ট্রি অনুযায়ী খনিজ সম্পদ সম্পর্কিত কোনও সিদ্ধান্ত সংসদের নেই।"
[আরও পড়ুন: ‘সন্ত্রাসবাদ গুঁড়িয়ে দেবে সেনা’, কার্গিল বিজয় দিবসে দ্রাস থেকে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি মোদির]
তবে, এর পাশাপাশি বিচারপতি বি ভি নাগরত্না তাঁর রায়ে বলেন, একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারেরই দেশে খনিজের উপর কর বসানোর একচেটিয়া অধিকার রয়েছে। একাধিক রাজ্য সরকার দীর্ঘ বছর ধরেই দাবি করে আসছিল যে খনিজ সম্পদের উপর রয়্যালটি বাবদ আয়ের অংশ দেওয়া হোক রাজ্যগুলিকে অথবা রাজ্যগুলিকে রয়্যালটি চাপানোর অধিকার দেওয়া হোক, যাতে খনির উপর রাজ্যগুলির মালিকানা বলবৎ হয়। কিন্তু ক্ষমতায় যে সরকারই থাকুক, কেন্দ্র রাজি হচ্ছিল না রাজ্যগুলিকে এই অধিকার দিতে। সুপ্রিম কোর্টের ইঙ্গিত, এতদিন কেন্দ্র রয়্যালটি বাবদ যে অর্থ উপার্জন করেছে তার ভাগ রাজ্যগুলিকে দিতে হবে কি না সেই বিষয়ে আগামী বুধবার, ৩১ জুলাই রায়ের বাকি অংশ শোনানো হবে।