সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশ জুড়ে ‘পদ্মাবত’ নিয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চলছে। রাজস্থান থেকে মহারাষ্ট্র, গুজরাট থেকে মধ্যপ্রদেশ, ‘পদ্মাবত‘-এর বিরোধিতায় হিন্দু সংগঠনগুলির বিক্ষোভের আঁচ এসে পড়ছে সব রাজ্যেই। পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি থেকে সুপ্রিম কোর্ট, কারও কথাই কানে যাচ্ছে না কর্ণি সেনার। রানি পদ্মিনীর ‘ইজ্জত’ বাঁচাতে যেভাবে তারা উঠে পড়ে লেগেছে, তা দেখে বেশ বিরক্ত অভিনেত্রী রেণুকা সাহানেও। কর্ণি সেনার বিরুদ্ধে তিনি যেভাবে তোপ দাগলেন, তা নিঃসন্দেহে চোখে পড়ার মতো।
[মুক্তির আগে ‘পদ্মাবত’ নিয়ে ফের মামলা, নিরাপত্তা বাড়ল সেন্সর প্রধানের]
দেশ জুড়ে প্রতিদিনই ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, কন্যাভ্রুণ হত্যার একাধিক ঘটনা উঠে আসে শিরোনামে। অথচ সে সব নিয়ে কর্ণি সেনাকে কখনও প্রতিবাদে পথে নামতে দেখা যায়নি। কিন্তু ইতিহাস ও রানি পদ্মিনীর মর্যাদা রক্ষা করতে অতি-তৎপর রাজপুত সংগঠন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করে তারই বিরোধিতা করলেন রেণুকা। তাঁর পোস্টে একসঙ্গে চারটি ছবি দেখা যাচ্ছে। যেখানে প্রথমটিতে ‘পদ্মাবত’ নিষিদ্ধ করতে সরব হয়েছে হিন্দু সংগঠনের সদস্য। তাদের হাতের পোস্টারে লেখা ‘ব্যান পদ্মাবত’। সেই ছবিটিকে লাল কালি দিয়ে কেটে দিয়েছেন রেণুকা। আর তার নিচেই রয়েছে তিনটি ছবি। যেখানে অভিনেত্রীর হাতে তিনটি প্ল্যাকার্ড। তাঁর বক্তব্য, ‘পদ্মাবত’ নয়, দেশে নিষিদ্ধ হোক ধর্ষণ, ভ্রুণহত্যা এবং শ্লীলতাহানির মতো ঘটনা।
তথাকথিত সভ্য সমাজে বাস করে এখনও অনেকের চিন্তাধারা যে কতটা সংকীর্ণ, এই পোস্টের মাধ্যমে সেই বার্তাই যেন দিলেন ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ খ্যাত অভিনেত্রী। তাঁর বক্তব্য, ‘পদ্মাবত’ নিয়ে যেভাবে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে তা যদি মহিলাদের সম্মান রক্ষার ক্ষেত্রে করত কর্ণি সেনা, তাহলে প্রকৃত অর্থেই সভ্য হতে পারত সমাজ। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে তৈরি বনশালির দেড়শো কোটির ছবির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সলমন খান, অর্জুন কাপুর, বরুণ ধাওয়ান-সহ হিন্দি সিনেমা জগতের বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী। বলিউডের মতো ‘পদ্মাবত’-এর পাশে দাঁড়িয়ে ১৫ মিনিট ব্ল্যাকআউট হয়েছিল টলিপাড়াতেও। এবার রেণুকার এমন প্রতিবাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় সাড়া ফেলে দিয়েছে। তবে এই পোস্ট থেকে একগুয়ে কর্ণি সেনা আদৌ শিক্ষা নেবে কিনা, সেটাই বড় প্রশ্ন।
[‘পদ্মাবত’ মুক্তিতে সবরকম সুরক্ষার আশ্বাস দিল দিল্লি পুলিশ]
The post অভিনব কায়দায় কর্ণি সেনার তাণ্ডবের প্রতিবাদ অভিনেত্রী রেণুকার appeared first on Sangbad Pratidin.