গৌতম ভট্টাচার্য: বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) বড় ক্লাবের বেঞ্চে বসে থাকতে রাজি নন। তিনি মাঠে নেমে গোল করতে চান। যে দলের কোচ তাঁর উপর আস্থা রাখবেন, তাঁকে প্রথম একাদশে রাখবেন, সেই দলেই খেলতে চান। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর একান্ত ফোনালাপে তেমনটাই জানালেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
একটা সময় বাবুল ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ঘনিষ্ঠ বৃত্তে। মাস কয়েক আগেই তাঁকে বঙ্গ বিজেপির কেউকেটাদের মধ্যে ধরা হত। আবার মাসখানেক আগে তিনি সরকারিভাবে রাজনীতি থেকে অবসরও নিয়ে নিয়েছিলেন। সেই বাবুল সুপ্রিয় কেন হঠাৎ জার্সি বদল করলেন? কী এমন হল যে জন্য তাঁকে অবসর ভেঙে ফিরে আসতে হল? আসানসোলের সাংসদ বলছেন, “নিশ্চয়ই সন্ন্যাস ভাঙার মতো কিছু একটা ঘটেছে। ফিরে আসার মতো সঠিক কোনও অনুপ্রেরণা যদি থাকে, তাহলে আমার মনে হয় অবশ্যই ফিরে আসা উচিত।” প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাফ কথা, তিনি বাংলার জন্য ভাল কাজ করতে চান। সেজন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) টিমে নাম লিখিয়েছেন। বাংলার মানুষের জন্য কাজ করার যে সুযোগটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল তাঁকে দিয়েছে, সেটাই তাঁকে টেনেছে বলে দাবি করেছেন বাবুল।
[আরও পড়ুন: কেন তৃণমূলে বাবুল সুপ্রিয়? যোগদানের পরই জানালেন কারণ, রইল তাঁর মন্তব্যের ১০ পয়েন্ট]
কিন্তু প্রশ্ন হল, বিজেপিতে (BJP) কী এমন সমস্যা হল? বাবুল বলছেন,”যে দলের কোচের আমার প্রতি বিশ্বাস থাকবে, যে মাঠের কোচ মনে করবেন আমি খেলার যোগ্য, সে দলের হয়ে আমি আমার জান দেব, আমি গোল করব। আমি বড় দলে আছি, কিন্তু বেঞ্চে বসে আছি, সেটা করার লোক আমি নই। বেঞ্চ গরম করাটা আমার মানসিকতা নয়। তার চেয়ে আমি কোনও ছোট ক্লাবে বা সমমানের কোনও ক্লাবে চলে যাব।”
[আরও পড়ুন: ‘ঝালমুড়ির রফা আগেই হয়েছিল’, ‘বিশ্বাসঘাতক’ বাবুল সুপ্রিয়র দলবদল নিয়ে কটাক্ষ BJP নেতৃত্বের]
একটা সময় যাঁদের বিরোধিতা করেছেন, যাঁদের মুণ্ডপাত করেছেন, তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে সমস্যা হবে না? প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উত্তর,”রাজনৈতিক লড়াই লড়াইয়ের জায়গায়। কিন্তু প্রত্যেকের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভাল। আমি রাজনৈতিকভাবে তাঁদের বিতর্কে হারিয়েছি। যুক্তি দিয়ে লড়াই করেছি। কিন্তু আমরা কেউই কারও শত্রু নয়। শুধু রাজনীতি কেন? ফুটবলাররাও একে অপরের বিরুদ্ধে খেললে পা ভেঙে দেয়, পরে আবার একসঙ্গে খেলে।” তৃণমূলে যোগ প্রসঙ্গে বাবুলের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “মেসি (Leo Messi) তো বার্সেলোনাতে থাকতে চেয়েছিল, তাঁকে ছাড়তে বাধ্য করা হল। তখন যেখানে সে ভালবাসা পেল, সেই পিএসজিতে চলে গেল। ও যখন পিএসজির হয়ে নামবে তখন লোকে এটাই আশা করবে, যে ও পিএসজির হয়েই বার্সেলোনাকে তিন গোল দেবে। আমিও যখন যে কাজটা করি, তখন সেটাই মন দিয়ে করি।”