অভিরূপ দাস: আর মাত্র চারমাস। ২০২৪-এর এপ্রিলের মধ্যেই কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ শেষ হবে। ফি বছর পয়লা বৈশাখে কালীঘাটে বিপুল ভিড় হয়। সূত্রের খবর, পয়লা বৈশাখে স্কাইওয়াক ব্যবহার করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।
২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়েছিল কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ। কেন এত সময় লাগল? সূত্রের খবর, কালীঘাটের মতো ঘিঞ্জি এলাকায় মাটির নীচে থাকা ব্রিটিশ আমলের পাইপ লাইন, নিকাশির পাইপ অক্ষত রেখে সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ করা অসম্ভব ছিল। এর মধ্যে পূর্তদপ্তরকে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য তাগাদা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাঝে রিলায়েন্সকেও কিছু কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। রটে যায় সরকারি গা ঢিলেমির জন্য রিলায়েন্সই করছে সমস্ত কাজ। এদিন মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কেউ কেউ ভাবছে কালীঘাটে সব কাজ রিলায়েন্স করছে। এটা ঠিক নয়। মূল কাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ সরকার করছে।
[আরও পড়ুন: ‘দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে মাথা কেটে ফেলব’, অন্তরাল থেকে বার্তা সন্দেশখালির শাহজাহানের]
সূত্রের খবর, শুধুমাত্র কালীঘাটে পরিকাঠামো তৈরির জন্যই ইতিমধ্যো ১৮ কোটি টাকা খরচ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। স্কাই ওয়াকের জন্য সবমিলিয়ে প্রায় ১১২ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। ফিরহাদ হাকিম এদিন হিসেব দিয়ে জানিয়েছেন, তার মধ্যে ৫০ কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছে রাজ্য সরকার। এবছর এপ্রিল মাসে স্কাই ওয়াকের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তার আগে বাকি টাকাও দিয়ে দেওয়া হবে। ফিরহাদের বক্তব্য, ‘‘সব এসে রিলায়েন্স করছে, এমনটা ঠিক নয়। ওরা সোনার মুকুট লাগাতে পারে। কিন্তু কালীঘাট মন্দির সংস্কারের সিংহভাগ কাজ পশ্চিমবঙ্গ সরকার করছে।’’