সুকুমার সরকার, ঢাকা: আফগানিস্তানে তালিবানের (Taliban) উত্থানে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। বিশেষ করে, ভারতীয় উপমহাদেশে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে। এহেন পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বার্তা দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
[আরও পড়ুন: কাশবনের আড়ালে উদ্দাম যৌনতা! ‘অশ্লীলতা’ রুখতে ঝোপে আগুন স্থানীয়দের]
নিজের বার্তায় হাসিনা জানিয়েছেন, ‘তালিবানকে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।’ তিনি জানান, যে কোনও ধরনের ঘটনা মোকাবিলার সামর্থ্য বাংলাদেশের রয়েছে। সোমবার রাজধানী ঢাকায় গণভবন থেকে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে অংশগ্রহণ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ভারচুয়ালি যুক্ত হয়ে এই কথা বলেন হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশ থেকে আফগানিস্তান গিয়ে ট্রেনিং নিয়ে আসে অনেকে। আমরা এরকম অনেক ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে এনেছি। যেমন, হলি আর্টিজানের ঘটনা।” জঙ্গি-সন্ত্রাসের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এটা যে দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না, এটা যে দেশের জন্য ক্ষতিকর, এই বিষয় মানুষকে বোঝাতে হবে। আমরা শান্তি চাই।”
এছাড়া রাষ্ট্রসংঘের এবারের অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যা ও এর স্থায়ী সমাধানের বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “রোহিঙ্গা সঙ্কট সম্পর্কে আমি আবারও বিশ্বনেতৃবৃন্দকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, এই সংকটের সৃষ্টি মায়ানমারে, সমাধানও রয়েছে মায়ানমারে। রাখাইন রাজ্যে তাদের মাতৃভূমিতে নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের মাধ্যমেই কেবল এ সঙ্কটের স্থায়ী সমাধান হতে পারে বলে উল্লেখ করে আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে গঠনমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়েছি।”
করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিনকে গোটা বিশ্বের জন্য সার্বজনীন পণ্য ঘোষণা করে সব দেশের জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করার বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে বাংলাদেশেও করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ করোনার টিকা তৈরি করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে অংশ নিতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক যান। করোনা মহামারি শুরু হওয়ার প্রায় দুই বছর পর এবারই প্রথম তিনি দেশের বাইরে কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান করেছেন। রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬-তম অধিবেশনের মূল সভা ও সাইড ইভেন্ট মিলিয়ে ১০টি সভা এবং ৮ টি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন।