সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিহাসের হাতছানি ছিল তাঁর সামনে। রজার ফেডেরারের পর রাফায়েল নাদালকে টপকে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্লামের মালিক হওয়ার থেকে একধাপ দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। রবিবাসরীয় রাতে সেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেলেন হাসতে হাসতে। নিজেকে সর্বকালের সেরা প্রমাণ করলেন নোভাক জকোভিচ।
রোলাঁ গারোঁর লাল সুরকির কোর্টের সম্রাট নাদাল। কিন্তু তিনি এবার না খেলায় ফেভারিট হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছিল জকোভিচকেই। আর ফাইনালের মঞ্চে আবারও তিনি প্রমাণ করে দিলেন, কেন তিনিই ফেভারিট। এদিন শুরুটা খানিকটা ঢিমে তালে করলেও খেলার রাশ নিজের হাতেই রেখেছিলেন জোকার। তবে ২৪ বছরের নরওয়েজিয়ান ক্যাসপার রুডও সহজে জমি ছাড়তে চাননি। প্রথম সেটের ফল নির্ধারিত হয় টাই ব্রেকারে। দ্বিতীয় সেট জিততে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি জকোভিচকে। তৃতীয় সেটেও হয় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। শেষ পর্যন্ত জয়ের মরিয়া চেষ্টা চালান রুড। কিন্তু এদিনটা যে লেখা ছিল জকোভিচের জন্যই। টেনিসের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে তাঁর নাম লেখার জন্য। জোকারের পক্ষে ম্যাচের ফল ৭-৬, ৬-৩, ৭-৫।
[আরও পড়ুন: কোচ বদলায়, বদলায় ক্যাপ্টেনও, ভাগ্য বদলায় না! আরও প্রকট ভারতের ‘চোকার্স’ তকমা]
২০টি গ্র্যান্ড স্লামের মালিক ফেডেরার ইতিমধ্যেই অবসর ঘোষণা করেছেন। নাদালের ঝুলিতে রয়েছে ২২টি গ্র্যান্ড স্লাম। দুই কিংবদন্তির পর টেনিস বিশ্বের উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে উঠলেন জকোভিচ। তৃতীয়বার ফরাসি ওপেনের রাজা হয়ে এবং ২৩টি গ্র্যান্ড স্লাম জিতে বুঝিয়ে দিলেন, কোনও চোট, নিয়মের গেরোয় তাঁকে আটকে রাখা সম্ভব নয়। টেনিসকে আরও সম্বৃদ্ধ করতেই তাঁর আবির্ভাব।
জকোভিচের অনন্য সাফল্যের দিন অবশ্য রুডের লড়াইয়ের কথা ভুললে চলবে না। গতবার এই ফরাসি ওপেনের ফাইনালে পৌঁছে নাদালের কাছে ট্রফি-যুদ্ধে হারতে হয়েছিল তাঁকে। এবার জকোভিচের মতো তারকার মহাকাব্যিক পারফরম্যান্সের সামনে নতিস্বীকার করতে হল তাঁকে। কিন্তু তাঁর লড়াইও মনে রাখবেন টেনিস প্রেমীরা।