সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধুন্ধুমার কর্ণাটক বিধানসভা (Karnataka Assembly)। সাসপেন্ড হলেন ১০ বিধায়ক। অধ্যক্ষ ইউ টি কাদেরের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে সুর চড়াল বিজেপি (BJP) এবং জেডিএস (JDS)। বিধানসভা সচিবের কাছে অনাস্থা নোটিস দিয়েছে বিজেপি এবং জেডিএস। সই করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই এবং এইচ ডি কুমারস্বামীও।
গত কয়েক দিন ধরে চলা পরিস্থিতি বুধবার তপ্ত হয়ে ওঠে অধ্যক্ষ দশ জন বিজেপি বিধায়ককে চলতি অধিবেশনে সাসপেন্ড করার পর। চলতি অধিবেশন চলার কথা আগামী শুক্রবার পর্যন্ত। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এ দিন সভার কাজকর্ম পণ্ড করেন তাঁরা। অধ্যক্ষের দিকে বিধায়করা কাগজ ছুড়ে মারেন। ‘অসভ্যতা’ করার অভিযোগেই তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেন অধ্যক্ষ।
[আরও পড়ুন: মোদি নীরব থাকলেও চুপ থাকবে না ‘ইন্ডিয়া’, অশান্ত মণিপুর নিয়ে ফের সরব রাহুল]
এই নির্দেশের প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভার ওয়েলে বসে পড়েন। কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। শাসক দলের অভিযোগ, অধ্যক্ষ দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। বিজেপি তাঁকে অসম্মান করেছে। ঘটনার সূত্রপাত রাজ্য সরকারের বিনামূল্যে চাল দেওয়ার প্রকল্প নিয়ে বিবাদ। বিধানসভা ভোটের প্রচারে কংগ্রেস ঘোষণা করেছিল, ক্ষমতায় এলে বিনামূল্যে মাসে ১০ কেজি করে চাল দেবে। এক মাস চাল দেওয়ার পরই সরকার টাকা দেওয়া শুরু করেছে। ৩৭ টাকা কেজি হিসাবে ৩৭০ টাকা করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা শুরু হয়। সরকারের বক্তব্য, কেন্দ্র প্রয়োজনীয় চাল দিচ্ছে না। চাল পাওয়া গেলে ফের রেশনে দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: মণিপুরের শরণার্থী শিবিরে তৃণমূল দল, মমতার হস্তক্ষেপ চাইলেন দুর্দশাগ্রস্তরা]
বিজেপির দাবি, মোটামুটি মানের চালও ৩৭ টাকা কেজি দরে পাওয়া যায় না। নগদ যদি দিতেই হয় তো ৫০ টাকা কেজি প্রতি দিতে হবে। বিজেপি বিগত ক’দিন ধরেই এই দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছে। বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে বিজেপি ধরনা-বিক্ষোভ করেছে।