সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃষ্টির দাপটে হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) এবং উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) বিপর্যয় অব্যাহত। দুই রাজ্যে দুর্যোগের বলি ৫৪ জন। একাধিক রাস্তায় ধস নেমে যোগযোগ বিচ্ছিন্ন। পাহাড়ি নদীগুলির জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে অসংখ্য বাড়ি। বেশ কয়েকজন নিখোঁজ। লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে পাহাড়ি রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)।
গতকালই হিমাচলে ২১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছিল, আগামী ২৪ ঘণ্টাতেও প্রবল বৃষ্টি হবে রাজ্যজুড়ে। অক্ষরে অক্ষরে ফলে গিয়েছে পূর্বাভাসে। এর পরেই খবর মিলেছে, ধস নেমে এবং নদীর জলের তোড়ে ভেসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫১। শুধু শিমলায় ধসের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আশঙ্কা, সামার হিলে ভেঙে পড়া শিব মন্দিরের নিচে আরও লাশ থাকতে পারে।
[আরও পড়ুন: জোরপূর্বক গ্রেপ্তারি থেকে বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা! উদ্বেগপ্রকাশ প্রধান বিচারপতির]
সোলান জেলায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে দুর্যোগে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজ্যের ১২ জেলার মধ্যে ন’টিতেই তুমুল বৃষ্টি চলছে। বিপর্যয় আরও বাড়তে পারে। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর নির্দেশে জরুরি তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাধীনতা সংগ্রামের অনুষ্ঠানকে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে হিমাচলে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ১৮ আগস্ট অবধি দুর্যোগ চলবে এই রাজ্যে।
[আরও পড়ুন: রাজস্থানে ফের অঞ্জু কাণ্ডের ছায়া, প্রেমিকের সঙ্গে কুয়েতে পাড়ি দিলেন দুই সন্তানের মা]
পড়শি রাজ্য উত্তরাখণ্ডে ৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলিছে। সরকারি হিসেবে নিখোঁজ ১০ জন। বেসরকারিভাবে এই সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি বলে দাবি। মেঘভাঙা বৃষ্টি, ধস এবং বন্যায় রাজ্যের বিস্তীর্ণ অংশ বিপর্যস্ত। ধস নামায় বহু রাস্তা বন্ধ। কেদারনাথের পথেও ধস নেমেছে। কর্ণপ্রয়াগে পাহাড় কেটে টানেলের কাজ চলছিল। লাগাতার বৃষ্টিতে ওই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে আটকে পড়েন ১১৪ জন কর্মী। পরে দড়ির সাহায্যে তাঁদের উদ্ধার করে বিপর্যয় বোকাবিলা বাহিনী। মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামী জরুরি বৈঠকের পর সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন চারধাম যাত্রা।
উল্লেখ্য, ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের দুর্যোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বর্তমান পরিস্থতিকে বললেন ‘অকল্পনীয় সংকট’। পাহাড়ি রাজ্যগুলিতে যাঁরা দুর্যোগে প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশে সমবেদনাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। “রাজ্য এবং কেন্দ্র মিলেমিশে কাজ করে সঙ্কট থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসব,” আশাবাদি মোদি।