সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দুত্ববাদী তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভক্তদের বেজায় অপছন্দের মানুষ। তিনি বিতর্কিত কৌতুকশিল্পী কুণাল কামরা (Kunal Kamra)। মাঝ আকাশে রিপাবলিক টিভির প্রধান সম্পাদক অর্ণব গো্স্বামীর সঙ্গে তাঁর সংঘাত ভাইরাল হয়েছিল। ওই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা অজুহাতে কামরার শো বাতিল হয়েছে। তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে তাঁর বিরুদ্ধে সামাজিকমাধ্যমে ‘ভুয়ো’ ও ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য’ ছড়ানোর অভিযোগ এনেছে কেন্দ্র। সম্প্রতি ওই বিধিকেই চ্যালেঞ্জ করে বম্বে হাই কোর্টে (Bombay High Court) মামলা করেছেন কামরা। মামলায় আইন সংশোধণ নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। তথ্য প্রযুক্তি আইন সংক্রান্ত এই মামলায় এবার কেন্দ্রের হলফনামা চাইল আদালত।
বিচারপতি গৌতম এস প্যাটেল এবং বিচারপতি লীলা কে গোখলের বেঞ্চে জনপ্রিয় কৌতুকশিল্পীর মামলার শুনানি চলছে। কামরার আইনজীবী নভরোজ সেরভাই প্রশ্ন তুলেছেন, তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে [ 3(1)(II)(A) and (C) of the Information Technology ২০২৩] সংশোধন আনা হয়েছে ডিজিটাল মিডিয়া এথিক্স কোডের নামে, তা আদতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) একাধিক অতীতের রায়কে লঙ্ঘন করছে। এই বিষয়েই কেন্দ্রের মতামত জানতে চেয়েছে বম্বে হাই কোর্টে। সেই সূত্রেই হলফনামা দিতে হবে কেন্দ্রকে।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের ভেবে ভারতীয় বায়ুসেনার কপ্টারেই গুলি! ‘দোষী’ গ্রুপ ক্যাপ্টেনকে বরখাস্তের সুপারিশ]
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছরে সংশোধিত তথ্য ও প্রযুক্তি আইন বলে অসংখ্য ইউটিউব চ্যানেলকে নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। এমনকী বেশকিছু টিভি চ্যানেলকেও রাষ্ট্রবিরোধী তকমা দেওয়া হয়েছে। তাদের স্যাটেলাইট লাইসেন্স কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে। ক’দিন আগেই এমন ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়েছে অমিত শাহর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। রাষ্ট্র বিরোধিতার অভিযোগে, তথা জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে মালয়ালম নিউজ চ্যানেল মিডিয়াওয়ানের (MediaOne) উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্র। সেই সিদ্ধান্তকে বাতিল করেছে শীর্ষ আদালত।
[আরও পড়ুন: ৯৯ বছরেও ছিলেন ধনকুবেরদের প্রথম সারিতে, প্রয়াত মাহিন্দ্রা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কেশব মাহিন্দ্রা]
শুনানিতে কামরার আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, তথ্য প্রযুক্তি আইনের সংশোধনের মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্র, সমাজ এবং ব্যক্তি বিশেষের ভুল কাজের সমালোচনার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এমনকী তা সুপ্রিম কোর্টের একাধিক অতীতের রায়কেই লঙ্ঘন করছে। এই আইন প্রয়োগ করে কীভাবে একজন শিল্পীকে তাঁর শিল্পকর্ম থেকে বিরত রাখা যায়?