shono
Advertisement

সাগরে ব্রহ্মতেজ! নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ থেকে ব্রহ্মসের সফল উৎক্ষপণ, আরও শক্তিশালী ভারত

এই উৎক্ষেপণ আত্মনির্ভরতার উদাহরণ, মন্তব্য নৌসেনা আধিকারিকদের।
Posted: 06:10 PM May 14, 2023Updated: 06:10 PM May 14, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জলপথে আরও শক্তিশালী ভারত। ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস মোর্মুগাও (INS Mormugao) থেকে এবার ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের (BrahMos Supersonic Cruise Missile) সফল উৎক্ষেপণ করল ভারতীয় নৌসেনা। নৌসেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রটি নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে।

Advertisement

ব্রহ্মসের সফল উৎক্ষেপণের পর আইএনএস মোর্মুগাও নিয়ে আত্মবিশ্বাসী নৌসেনা আধিকারিকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, “জাহাজ এবং যুদ্ধাস্ত্র দু’টিই সম্পুর্ণ দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি। মাঝসমুদ্রের এই সফল উৎক্ষেপণ আত্মনির্ভরতার প্রকৃত উদাহরণ।”

[আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে ‘বেওয়ারিশ’ অ্যাকাউন্টে পড়ে ৩৫ হাজার কোটি টাকা! কী পদক্ষেপ RBI-এর?]

রাশিয়া ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র। গতিবেগ ২.‌৮ ম্যাক। অর্থাৎ শব্দের থেকেও তিনগুণ দ্রুতগতিতে মিসাইলটি উড়তে সক্ষম। প্রতি সেকেন্ডে এক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে ব্রহ্মস। যে কোনও টার্গেটে ৯৯.৯৯ শতাংশ নিখুঁত হামলা চালাতে পারে। ‘অগ্নি’ ও ‘পৃথ্বী’র মতো ব্যালিস্টিক মিসাইলের মতোই মারাত্মক এই ক্রুজ মিসাইল। একবার এই মিসাইল লঞ্চ করা হয়েছে গেলে শত্রুর পক্ষে একে আটকানো কার্যত অসম্ভব।

[আরও পড়ুন: প্রকাশিত আইসিএসই ও আইএসসির ফল, দশমে প্রথম বাংলার সম্বিত]

১৯৯৮ সালে ভারত ও রাশিয়াত যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয় ‘ব্রহ্মস এরোস্পেস’। ব্রহ্মপুত্র ও মস্কো নদীর নামে নামকরণ করা হয় সংস্থাটির। এদেরই তৈরি অত্যাধুনিক ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র। ২০০৬ সালে ভারতীয় স্থলসেনা ও নৌসেনার অস্ত্র ভাণ্ডারে যুক্ত হয় ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র (Missile)। প্রাথমিকভাবে এর মারণ ক্ষমতা ২৯০ কিলোমিটার থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে ৪০০ কিলোমিটার করা হয়। এবার ভারতীয় বায়ুসেনার হাতেও আসছে ব্রহ্মস।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement