সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাদল অধিবেশনের আগভাগে ‘অসংসদীয়’ শব্দের তালিকা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল সংসদে (Parliament)। বিরোধী কণ্ঠরোধের প্রতিবাদে পথে নেমেছিল বিরোধীরা। সেই বিতর্কের রেশ কাটার আগেই এবার লোকসভা-রাজ্যসভার বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে নতুন আচরণবিধি চালু হচ্ছে সংসদে, সচিবালয় সূত্রে এমনটাই খবর। জানা গিয়েছে, শীতকালীন অধিবেশন থেকেই ওই নয়া বিধি চালু হতে পারে। এই ঘটনায় নতুন করে শাসক-বিরোধী চাপানউতরের আশঙ্কা করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সংসদে ‘আদর্শ আচরণবিধির’ বিস্তারিত তালিকা এখনও মেলেনি। তবে জানা গিয়েছে, অধিবেশন চলাকালীন ওয়েলে নেমে পোস্টার-প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবার বন্ধ হতে পারে এবার। অন্যদিকে অধিবেশন চলাকালীন সপ্তাহে অন্তত এক দিন বিভিন্ন বিষয়ে সাংসদদের ‘সংক্ষিপ্ত বক্তব্য’ পেশের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে নয়া আচরণবিধিতে। সচিবালয়ের দাবি, সংসদের মর্যাদা রক্ষাই মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি সরকার ও বিরোধীপক্ষ যাতে করে সুস্থভাবে মতামত বিনিময় করতে পারেন তাও মাথায় রাখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: জাপানে শিনজো আবের শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকবেন মোদি!]
প্রসঙ্গত, বাদল অধিবেশনের আগে শব্দ ‘ফতোয়া’ জারি হয়েছিল সংসদে। একগুচ্ছ শব্দতালিকা প্রকাশ করেছিল লোকসভার সচিবালয়। ফলে সংসদ কক্ষ থেকে বাদ গিয়েছে ‘লজ্জাজনক’, ‘নির্যাতন’, ‘বিশ্বাসঘাতকতা’, ‘নাটক’, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘অযোগ্য’, ‘ভণ্ডামি’র মতো শব্দ। সচিবালয় জানিয়েছিল এগুলি ‘অসংসদীয়’ শব্দ। বিরোধীরা এই নিয়ে প্রতিবাদে শামিল হলেও সরকারের বক্তব্য ছিল বিষয়টি নতুন কিছু না।
[আরও পড়ুন: ভারতে হামলার জন্য ৩০ হাজার টাকা! সেনার জালে পাকিস্তানি ফিদায়েঁ জঙ্গি]
সরকার দাবি করে, এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা বহু রাজ্যের বিধানসভা ও বিদেশের বহু সংসদে রয়েছে। নতুন কিছু না। বিরোধীরা অহেতুক উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। উদাহরণ দিয়ে বলা হয়, ‘হেনস্তা’ শব্দটি অস্ট্রেলিয়ার সংসদে নিষিদ্ধ। ‘অক্ষম’ শব্দটি নিষিদ্ধ ছত্তিশগড় বিধানসভায়। সরকারি সূত্রে আরও দাবি করা হয়েছে, প্রতি বছরই সংসদের সচিবালয় এই ধরনের তালিকা প্রকাশ করে। এটা কোনও নির্দেশিকা নয়।