সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিডের (Covid) জেএন.১ ভ্যারিয়েন্ট নতুন করে আশঙ্কা ছড়াচ্ছে গোটা বিশ্বে। ক্রিসমাস ও বর্ষবরণের মুখে আতঙ্ক চড়ছে ভারতেও। গত দু’দিনে জিনোম সিকোয়েন্স করে তিন রাজ্যের করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ২১ জনের নমুনায় জেএন.১-এর অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর জেরেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিডে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ৩৫৮ জন। হুড়মুড় করে বাড়ছে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যাও। বর্তমানে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ২৬৬৯ জন।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, কেরল, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড এবং কর্নাটকে আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। এছাড়াও চিন্তা বাড়চ্ছে গুজরাট এবং কর্নাটক। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাইরাসের জেএন.১ প্রজাতির সংক্রমণের ক্ষমতা বেশি, তবে মারণক্ষমতা কম। ফলে আক্রান্তদের কো-মর্বিডিটি না থাকলে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব সুধাংশ পন্থের দাবি, আক্রান্তদের মধ্যে ৯২.৮ শতাংশই ঘরোয়া চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: মোদির বিরুদ্ধে প্রার্থী নীতীশ কিংবা প্রিয়াঙ্কা? প্রস্তাব ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে]
ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের জেরে বুধবার বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। বৈঠকে সতর্ক থাকতে একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তার মধ্যে রয়েছে করোনা পরীক্ষা বাড়ানো, প্রয়োজনে জিনোম সিকোয়েন্সিং, হাসপাতালগুলিকে তৈরি রাখা ইত্যাদি। যদিও ভয় পাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে দাবি মাণ্ডব্যর। পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ চোখ রাঙালেও নতুন করে বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকতে হবে। এই ধরনের উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হোন?
Active Case
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের সঙ্গে সম্মানজনক জোট হলে আপত্তি নেই, হাইকমান্ডকে জানাল প্রদেশ কংগ্রেস]
সর্দি-কাশি-জ্বর হলেই সতর্ক থাকতে হবে। ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো উপসর্গ দীর্ঘদিন চললে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতায় দ্রুত কোভিড পরীক্ষা করুন। আরটি-পিসিআর এবং অ্যান্টিজেন করতে হবে। ভিড় যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। সরকার নির্দেশকা না থাকলেও মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষত প্রবীণ এবং কোমর্বিডিটি আছে যাদের, তাঁদের জন্য মাস্ক কাজে আসবে।