নব্যেন্দু হাজরা: প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে যাত্রী নিয়ে ছোটার চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেল জোকা-তারাতলা মেট্রো। শর্তসাপেক্ষে ছাড়পত্র দিল কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি বা সিআরএস। কিছুক্ষেত্রে তারা তাদের পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে। সেই কাজগুলোও দিন পনেরোর মধ্যেই শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। আর তা হলেই জোকা-তারাতলা যাত্রী নিয়ে মেট্রো ছুটতে আর কোনও অসুবিধা থাকবে না।
মেট্রোসূত্রে খবর, ওয়ান লাইন ওয়ান মেট্রো পদ্ধতিতে ট্রেন চলবে। অর্থাৎ একটি মেট্রোই (Metro) যাতায়াত করবে। সেক্ষেত্রে কমপক্ষে ২০ মিনিট অন্তর মেট্রো পাবেন যাত্রীরা। তবে ভাড়া এবং কতক্ষণ ট্রেন চলবে এই লাইনে তা এখনও ঠিক হয়নি। প্রত্যেক স্টেশনে এএফসি গেট বসানো হয়ে গেলে স্মার্ট কার্ড দিয়েই করা যাবে মেট্রোসফর। তা না হলে আপাতত টোকেন কেটেই মেট্রো চড়তে হবে যাত্রীদের।
[আরও পড়ুন: ফের হাওড়া স্টেশনে শৌচালয় ব্যবহারে টাকা নেওয়ার অভিযোগ, এবার ক্ষুব্ধ চিত্রশিল্পী]
পাশাপাশি নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত মেট্রো চলাচলও চলতি বছরেই শুরু করতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। ওই লাইন পরিদর্শনের জন্যও সিআরএসকে আবেদন জানানো হয়েছে। তবে এখনও দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। ১০ নভেম্বর কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি বা সিআরএস জোকা-তারাতলা মেট্রো রুট পরিদর্শনে আসেন। তারপরই জোকা-তারাতলা রুটে মিলল চূড়ান্ত অনুমোদন। মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুন অরোরা জানিয়েছেন, ২২-২৩ আর্থিকবর্ষে প্রথম ন’মাসে ১৪.২৩ মেট্রোপথ চালু হচ্ছে। যা রেকর্ড। তারমধ্যে ফুলবাগান থেকে শিয়ালদহ অংশও রয়েছে।
জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত মোট ৬টি স্টেশন রয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই জোকা-তারাতলা মেট্রো চলাচল শুরু হলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেকখানি সুবিধা হবে বেহালার মানুষের। পাশাপাশি অন্যান্য নিত্যযাত্রীদেরও। তবে শুরুতেই যে এই লাইনে অনেক যাত্রী হবে তেমনটা মনে করছেন না মেট্রো কর্তারাও। কারণ একে তো ২০ মিনিট অন্তর মেট্রো। তার উপর এই রুটে অটো রয়েছে। তবে ভাড়া যদি অটোর তুলনায় কিছুটা কম হয়, সেক্ষেত্রে মেট্রোয় ভিড় বাড়তে পারে। এরপর তারাতলা থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত পুরো অংশে ট্রেন চললে যাত্রী অবশ্য বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমরা সমস্ত দিক থেকেই প্রস্তুত আছি। রেলবোর্ডের অর্ডার এলেই এই লাইনে যাত্রী নিয়ে মেট্রো ছোটা শুরু হয়ে যাবে।”