সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মসজিদের আদলে কেন বাসস্ট্যান্ডের নকশা ? প্রশ্ন তুলে বুলডোজার-হুমকি দিয়েছিলেন কর্ণাটকের (Karnataka) এক বিজেপি সাংসদ (BJP MP)। জানিয়ে দিয়েছিলেন, ওই আদলের পরিবর্তন না হলে তিনি নিজেই জেসিবি দিয়ে বাসস্ট্যান্ডটিকে ভেঙে দেবেন। শেষ পর্যন্ত গেরুয়া সাংসদের হুমকিতে কাজ হল! বদলে গেল বাসস্ট্যান্ডের চেহারা।
সম্প্রতি কোল্লেগার ৭৬৬ নম্বর জাতীয় সড়কে নির্মিত হয় একটি বাসস্ট্যান্ড। যেটি নির্মিত হয় বিজেপি বিধায়ক রাম দাসের বিধায়ক তহবিলের অর্থে। বিধায়ক নিজে মাইসুরুর বিখ্যাত রাজপ্রাসাদের আদলে বাসস্ট্যান্ডটিকে তৈরি করান। কিন্তু তাঁরই দলের সাংসদ প্রতাপ সিমহা নবনির্মিত বাসস্ট্যান্ডটিকে দেখে ক্ষিপ্ত হন। যেহেতু সেটিতে তিনটি গম্বুজ রয়েছে।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জামাতের ৯০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, নিষিদ্ধ সংগঠনের বিরুদ্ধে কড়া পুলিশ]
সোনালি রঙের তিনটি গম্বুজের ওই বাসস্ট্যান্ড দেখে প্রতাপ সিমহা বলেন, ইঞ্জিনিয়ারদের বলেছি, মসজিদের আদল ভেঙে ফেলতে হবে। তিনি মন্তব্য করেন, “সামাজিক মাধ্যমে বাসস্ট্যান্ডের ছবি দেখেছি। ওই নির্মাণের মাথায় তিনটি গম্বুজ রয়েছে। মাঝেরটি বড় দু’পাশে দু’টি ছোট। ওটা মসজিদ ছাড়া কিছু না।” নেতা আরও অভিযোগ করেন, এই ধরনের একাধিক বাসস্ট্যান্ড নির্মিত হয়েছে মাইসুরুতে। এরপরেই তিনি বলেন, “আমি ইঞ্জিনিয়ারদের ওই আদল ভেঙে ফেলতে বলেছি। অথবা নিজেই বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেবো।”
বিজেপি নেতার এমন মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়। এমনকী দলীয় সতীর্থ বিধায়ক রাম দাস সাংসদের মন্তব্যে আপত্তি করেন। তিনি জানান, মাইসুরুর রাজপ্রাসাদের আদলে বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ করা হেয়েছিল। পরে অবশ্য একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে জনতার কাছে ক্ষমা চান তিনি। বলেন, “মাইসুরুর ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে বাসস্ট্যান্ডের নকাশ করেছিলাম। যদিও অন্য কথা বলছেন অনেকে। ফলে দু’টি গম্বুজ সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। কারা ভাবাবাগে আঘাত লেগে থাকলে আমি দুঃখিত।”
[আরও পড়ুন: আদানির কপালের ভাঁজ আরও চওড়া, বন্দরের কাজ থমকে, ট্রাকে পাথর ছুঁড়লেন আন্দোলনকারীরা]
সেই মতো কাজও হয়েছে। দু’পাশের গম্বুজ রাতারাতি গায়েব হয়েছে। মাঝের গম্বুজটি আছে বটে, তবে সেটির সোনালি রঙ বদলে হয়েছে লাল। হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ ও ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, সাংসদ ও বিধায়কের নির্দেশ মতো কাজ করেছেন তাঁরা। গেরুয়া নেতার হুমকিতে বাসস্ট্যন্ড নিয়েও ধর্মীয় রাজনীতি হল, বলছে বিরোধীরা।