সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছর ‘জম্বি’ অ্যামিবার (Amoeba) কারণে পাকিস্তানে মৃত্যু হয়েছিল ৯০ জনের! এবার কেরলে (Kerala) দূষিত জলে স্নান করে মৃত্যু হল ১৫ বছরের এক কিশোরের। জলে থাকা অ্যামিবা নাকের ফুটো দিয়ে ঢুকে পড়ে মস্তিষ্কে, এর ফলেই মৃত্যু হয়েছে কিশোরের, জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে।
মারণ অসুখের পোশাকি নাম প্রাইমারি অ্যামিবায়োটিক মেনিনগোয়েনসেফালিটিস। ভিলেনের অবশ্যই অ্যামিবা। সাধারণত নোংরা জলে থাকে এই পরজীবী জীবাণু। কোনও ভাবে নাকের ছিদ্র দিয়ে শরীরে ঢুকে পড়লেই মস্তিষ্কে হামলা চালায় জীবাণুটি। রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি হল, জ্বর, বমি, মাথাব্যথা এবং খিঁচুনি। যাতে এবারে মৃত্যু হয়েছে আলাপ্পুজা জেলার পানাবল্লী এলাকার বাসিন্দা ১৫ বছরের কিশোরের।
[আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল, লাস্যের হাতছানি, পাকিস্তানকে প্রতিরক্ষার গোপন নথি পাচার DRDO’র বিজ্ঞানীর]
কেরলে এর আগে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে এই সংক্রমণে। প্রথম সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছিল আলাপ্পুজাতেই ২০১৬ সালে। এই রোগে মৃত্যুর হার ১০০ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত কাউকেই বাঁচানো যায়নি। মাঝে মগজখেকো অ্যামিবার হদিশ মিলতেই আমেরিকার ৮ শহরে জারি হয় সতর্কতা।
[আরও পড়ুন: একটানা বৃষ্টিতে ভয়ংকর ধস, ভেসে গেল জম্মু-শ্রীনগর মহাসড়কের বড় অংশ, প্রকাশ্যে ভিডিও]
আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছিল, মগজখেকো অ্যামিবা নদী, পুকুর, হ্রদ, সুইমিং পুল, যে কোনও জলে থাকে। উষ্ণ জল হলে তো কথা নেই, দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে। সেই জন্য উষ্ণ প্রস্রবণগুলিতে এদের দেখা মেলে বেশি। শিল্পাঞ্চলের কাছাকাছি এলাকায় দূষিত জলেও দেখা যায়। দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার না করা সুইমিং পুল বা ক্লোরিনেটেড নয় এমন বদ্ধ জলে দ্রুত ছড়ায় অ্যামিবা। খালি চোখে ধরা দেয় না। এমনিতে তাকে নিয়ে সমস্যা নেই। কিন্তু যদি নাক দিয়ে কোনও ভাবে শরীরে প্রবেশ করে, তাহলে মগজের দফারফা করে ছাড়বে। স্নায়ুকোষ ছিন্নভিন্ন করবে নিমেষে।