কৃষ্ণকুমার দাস: সম্পত্তিকরের নোটিস নিয়ে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা (KMC)। এতদিন ধরে তিন দফায় তিনটি বিষয়ে পৃথক নোটিস পেতেন সম্পত্তির মালিকরা। টাকাও জমা দিতে হত আলাদা বিলে। কিন্তু এবার তিনটি বিলই একসঙ্গে করে একটি নোটিসেই বাড়ি-বাড়ি পাঠাবে পুরসভা। ১ মার্চ থেকে এই নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত চালু করছে পুরসভার অ্যাসেসমেন্ট দপ্তর।
শনিবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম করদাতাদের সুবিধার জন্য সম্পত্তিকর সরলীকরণের এই নয়া সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেন, “পৃথক দিনে, আলাদা নোটিস পেয়ে করদাতারা বিভ্রান্ত হয়ে়ছিলেন। মেয়র হয়েও আমি আলাদা নোটিসের মাথামুন্ডু কিছুই বুঝতাম না। করদাতাদের হয়রানির কথা ভেবে কমিশনারকে একটি মাত্র নোটিস ও বিল তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলাম। তা কার্যকর হচ্ছে। নাগরিকরা সুবিধামতো কর জমা দিতে পারবেন।”
[আরও পড়ুন: দীর্ঘদিনের লড়াইয়ে হার, প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে, টুইটে শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর]
মহানগরের সম্পত্তিকরের নোটিস সংশোধনের পাশাপাশি পুরসভার আইন বিভাগের যাবতীয় খোলনলচে বদলে সমস্ত নথিকে ডিজিটাল করার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। বলেছেন, পুরসভার হয়ে এবার থেকে যিনি আদালতে মামলা লড়বেন সেই আইনজীবী যেন অবশ্যই বিভাগীয় অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে নথিপত্র নিয়ে প্রস্তুত হয়ে সওয়ালে অংশ নেন। মামলা হলেই সংশ্লিষ্ট সমস্ত অফিসারকে মেসেজ পাঠাতে হবে। মামলার তারিখ ও বিষয় বিস্তারিত জানিয়ে ‘সজাগ’ করতে হবে আইন বিভাগ ছাড়াও দায়িত্বপ্রাপ্ত শীর্ষকর্তাদেরও। বাদী ও বিবাদী, উভয়পক্ষের আইনজীবীর তথ্য পুরসভার কাছে রাখতে হবে।
এদিন ফিরহাদ আরও বলেন, “পুরসভার বিরুদ্ধে মামলা হলেই হেরে যাওয়ার অন্যতম কারণ প্রস্তুত না হয়ে আইনজীবীদের কোর্টে অংশ নেওয়া। এবার থেকে কোর্টে হারলে আইনজীবীকে আর পুরসভার মামলা নয়। দ্বিতীয়বার কেস তাঁকে দেওয়ার আগে রিভিউ করে দেখা হবে ঠিক কেন পুরসভা হেরেছে। তাই মামলার সাতদিন আগে থেকে যেন সবপক্ষ প্রস্তুতি শুরু হয়।”
[আরও পড়ুন: মাদক খুঁজতে গিয়ে খাস কলকাতার উদ্ধার কোটি কোটি কালো টাকা, আটক ২]
আইনবিভাগের সমস্ত নথি ও ছ’মাসের পুরনো সমস্ত মামলার তথ্য ডিজিটাল করারও নির্দেশ দেন তিনি। প্রয়োজন হলে স্বয়ং মেয়র নিজের টেবিলের কম্পিউটারে বসে যে কোনও মামলার খুঁটিনাটি তথ্য দেখে নেবেন। বিভাগীয় মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়কে দ্রুত আইনবিভাগ ডিজিটাল করার সঙ্গে কোর্টের মামলায় নজরদারি করার নির্দেশ দেন মেয়র।