সুলয়া সিংহ: পুরী যেতে হবে না, করোনা (Corona Virus) পরিস্থিতিতে এবার খাস কলকাতাতেই (Kolkata) সেরে ফেলতে পারবেন জগন্নাথ দর্শন। নিশ্চয়ই ভাবছেন কীভাবে? শহরের বুকে ঠিক পুরীর আদলে তৈরি হচ্ছে মন্দির। রথযাত্রায় সেখানে প্রতিষ্ঠা করা হবে জগন্নাথ দেবকে।
কেন হঠাৎ কলকাতার বুকে পুরীর আদলে জগন্নাথ দেবের মন্দির তৈরির সিদ্ধান্ত? কারণ জানিয়েছেন খোদ উদ্যোক্তা তথা উত্তর কলকাতার তৃণমূলের জয় হিন্দ বাহিনীর সহ-সভাপতি প্রতাপ দেবনাথ। তাঁর কথায়, “সাধন পাণ্ডেকে (Sadhan Pande) আমরা ভালবাসি। উনিই প্রথম যিনি পরপর ৯ বার বিধায়ক হলেন। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সাধনদাকে টিকিট দেওয়ার পরই মানত করেছিলাম, যদি মানুষের রায়ে ফের দাদা ফিরে আসেন তবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে কলকাতায় তৈরি করা হবে মন্দির।” সেই মতোই ভোটের ফলপ্রকাশের পর এই মন্দির তৈরির কাজ শুরু। প্রতাপবাবু জানিয়েছেন, পুরীর জগন্নাথদেবের আদলে তৈরি হলেও কলকাতার মূর্তি হবে ৪ ফুটের। পুরীর মূর্তি ৬ ফিটের। পুরীর আদলে তৈরি হচ্ছে সিংহদারও। কুমোরটুলিতেই ধীরে ধীরে মন্দিরটি তৈরি করেছেন বিখ্যাত শিল্পী মিনটু পাল। মঙ্গলবার উত্তর কলকাতায় মুচিপাড়া পোস্ট অফিস মোড়ে বসানো হল মন্দিরটি। এদিনই ক্রেন দিয়ে চূড়া বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী শুক্রবারের মধ্যে যাবতীয় কাজ শেষ হবে।
[আরও পড়ুন: ‘ল্যাজ ছাড়া হনু’, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপিকে চাঁচাছোলা আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর]
শিল্পী মিন্টু পাল জানিয়েছেন, ফাইবার, গ্লাসের এই মন্দির তৈরিতে তাঁর সময় লেগেছে ১ মাস। মন্দিরের উচ্চতা প্রায় ৪০ ফুট। জগন্নাথ দেবের মূর্তি সম্পূর্ণ তৈরি হয়েছে নিম কাঠে। রথের (Rath Yatra) দিন মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হবে মূর্তি। ওইদিন থেকেই ভক্তদের জন্য খুলে যাবে মন্দিরের দরজা। দলের কর্মী-সমর্থকদের এই উদ্যোগে আপ্লুত বিধায়ক তথা মন্ত্রী সাধন পাণ্ড। নিঁখুত কাজ অবাক করেছে তাঁকেও।