সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রতিযোগিতা শুরু করেছে! বিশ্বজুড়ে কপাল পুড়ছে অসংখ্য মানুষের। বাড়ছে বেকারত্ব। এক্ষেত্রে সকলের অজুহাত মন্দা ও মহামারী। লোকশানে নাজেহাল সংস্থা, অতএব ছাঁটাই। টুইটার (Twitter), মেটার (Meta) মতোই সেই পথে পা বাড়াল হসপিটালিটি সংস্থা ওয়ো (OYO)। ফলে এক ধাক্কায় ৬০০ কর্মী কাজ হারাচ্ছেন। এদিকে ৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম শেয়ার চ্যাটও (ShareChat)।
এর আগে ২০২০ সালে ‘বাজেট হোটেল চেন’ সংস্থা ওয়ো প্রায় ৩০০ কর্মী ছেঁটে ফেলেছিল। তবে এদিন তারা নতুন কর্মী নিয়োগ করবে বলেও জানিয়েছে। সংস্থার পরিকাঠামোতেও প্রয়োজনীয় বদল আনা হচ্ছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের বড় অংশই প্রযুক্তি বিভাগের কর্মী। সংখ্যাটা সব মিলিয়ে ৬০০। অন্যদিকে সেলস বিভাগে দ্রুত ২৫০ জন কর্মী নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা।
[আরও পড়ুন: বিক্ষোভের জেরে বন্ধ স্বপ্নের বন্দরের কাজ, কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছেন আদানি]
ওয়ো প্রোডাক্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং, কর্পোরেট সদর দপ্তর এবং ওয়ো ভ্যাকেশন হোম টিম ছোট করছে। অন্যদিকে পার্টনারশিপ ম্যানেজমেন্ট এবং বিজনেস ডেভলপমেন্ট টিমে নতুন কর্মী নিযুক্ত করছে। উল্লেখ্য, ওয়োর মোট কর্মী সংখ্যা ৩ হাজার ৭০০ জন। তার ১০ শতাংশ কর্মী হ্রাস করছে, এক বিবৃতিতে এমনটা জানিয়েছে সংস্থা। এদিকে ক’দিন আগে ৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা জানিয়েছে শেয়ার চ্যাট। এক বিবৃতিতে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, একাধিক কারণে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে হয়েছে তাদের। তা সংস্থার মোট কর্মীর ৫ শতাংশ। উল্লেখ্য, শেয়ার চ্যাটের কর্মী সংখ্যা ২ হাজার ২০০ জন।
[আরও পড়ুন: মানুষের ইচ্ছাকে অবজ্ঞা! কলেজিয়াম বিতর্কে সুপ্রিম কোর্টকে কটাক্ষ উপরাষ্ট্রপতি ধনকড়ের]
প্রসঙ্গত, টুইটারের (Twitter) পর চলতি মাসে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটে ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রামের মালিকাধীন সংস্থা মেটা (Meta)। ১১ হাজারেরও বেশি কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করেছিল তারা। যা সংস্থার মোট কর্মী সংখ্যার ১৩ শতাংশ। মেটার চিফ এক্সিকিউটিভ মার্ক জুকারবার্গ (Mark Zuckerberg) একটি ব্লগ পোস্টে দাবি করেন, সংস্থার উন্নতির জন্যই ঐতিহাসিক কর্মী ছাঁটাইয়ের পদক্ষেপ করে হয়েছে। বিশ্বজুড়ে গণছাঁটাইয়ের পর দুঃখ প্রকাশ করেন জুকারবার্গ।