সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে (Afghanistan) কায়েম হয়েছে তালিবানের শাসন। আর সেই সঙ্গে হাওয়া লেগেছে ‘গ্লোবাল জেহাদ’-এর পালে। এবার আফগান সেনাবাহিনীর হাত থেকে কেড়ে নেওয়া অত্যাধুনিক মার্কিন বন্দুক ও মিসাইলে আরও বলীয়ান হয়ে ঊঠেছে জেহাদি সংগঠনটি। এহেন পরিস্থিতিতে নিজেদের সুরক্ষা মজবুত করতে অস্ত্র কেনার হিড়িক পড়েছে আফগান সীমান্ত লাগোয়া মধ্য এশিয়ার দেশগুলিতে। আর স্বাভাবিকভাবেই তারা দ্বারস্থ হয়েছে রাশিয়ার (Russia)।
[আরও পড়ুন: World Bank: তালিবানকে চাপে রাখতে আফগানিস্তানকে অর্থ সাহায্য বন্ধ করল বিশ্ব ব্যাংক]
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, তালিবানের কাবুল দখলের পর থেকেই উদ্বিগ্ন আফগান সীমান্ত লাগোয়া তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের মতো প্রাক্তন সোভিয়েত গণরাজ্যগুলি। শুধু তাই নয়, আফগানিস্তানের সঙ্গে সরাসরি সীমান্ত ভাগ না করলেও চিন্তায় রয়েছে কাজাখস্তানও। তারা মনে করছে কায়া বৃদ্ধি করে এবার পড়শি দেশগুলিতে ছড়িয়ে পর্বে তালিবান। সেখানেও সন্ত্রাসের পালে হওয়া লাগবে। এই আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তার প্রধান কারণ হচ্ছে তালিবানের অন্দরে বনহু তাজিক, উজবেক ও বিদেশি যোদ্ধারা রয়েছে। তারা দেশে ফিরে জেহাদে উসকানি দিতে সক্ষম। ফলে নিজেদের সেনাবাহিনী মজবুত করতে রাশিয়ার থেকে আরও অস্ত্র কেনা শুরু করেছে মধ্য এশিয়ার দেশগুলি। বলে রাখা ভাল, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙলেও তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানে সেনাঘাঁটি রয়েছে রাশিয়ার। মস্কোর উপরই নির্ভরশীল তুর্কমেনিস্তান ও কাজাখস্তান।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার সরকারি অস্ত্র নির্মাতা ‘Rosoboronexport’-এর মুখপাত্র আলেকজান্ডার মিখিয়েভ বলেন, “ইতিমধ্যে ওই অঞ্চলের অনেকগুলি দেশ থেকে অস্ত্রের বরাত পেয়েছি আমরা। হেলিকপ্টার, আগ্নেয়াস্ত্র ও সীমান্ত সুরক্ষিত রাখার অস্ত্রের জোগান দেওয়ার জন্য কাজ করছি আমরা।”
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে তালিবানকে মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। বিগত প্রায় বছর সাতেক ধরে তালিবানের সঙ্গে পর্দার আড়ালে আলোচনা চালাচ্ছে মস্কো বলেও খবর। তবে আফগানিস্তান থেকে পড়শি দেশগুলিতে তালিবান জঙ্গিদের ঢুকে পড়ার আশঙ্কা করছে পুতিন প্রশাসন। আর তেমনটা হলে রাশিয়ার অন্দরেও চেচেন বিদ্রোহীরদের কার্যকলাপ বাড়তে পাড়ে।