shono
Advertisement

লাগবে না পৃথক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’ই মিলবে যক্ষ্মা রোগীর মাসিক ভাতা!

নবান্নের সবুজ সংকেত পেলেই কার্যকর হবে স্বাস্থ্যভবনের সিদ্ধান্ত।
Posted: 01:13 PM Sep 07, 2021Updated: 01:14 PM Sep 07, 2021

স্টাফ রিপোর্টার: যক্ষ্মা চিকিৎসার মাসিক ভাতা পেতে পৃথক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে না। আলাদা করে হিসাব রাখতে হবে না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেই (Lakshmir Bhandar) মিলবে ভাতা। অন্তত এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। নবান্নের সবুজ সংকেত মিললেই কর্মসূচি শুরু হবে।

Advertisement

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization) ও কেন্দ্র যৌথ উদ্যোগে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সেই অনুযায়ী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসজুড়ে গোটা রাজ্যে নতুন যক্ষ্মা রোগী খুঁজে বের করা হবে। শুরু হবে চিকিৎসা। এই কাজে যুক্ত করা হয়েছে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। সাহায্য নেওয়া হবে বেসরকারি টিবি ক্লিনিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার। এটা যেমন একটা দিক, তেমনই যক্ষ্মারোগীদের মাসিক ভাতাও পরিশোধ করা হবে। স্বাস্থ্য ভবনের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ সেলের অভিমত, পুরনো যক্ষ্মা রোগীদের (TB Patient) আগের থেকেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা আছে। সেই অ্যাকাউন্টেই ভাতা বা চিকিৎসা খরচ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু নতুন যে সব নতুন রোগী চিহ্নিত হয়েছেন তাঁদেরও চিকিৎসাভাতা দিতে হবে।

[আরও পড়ুন: বকখালিতে নদীর চরে ভেসে এল বিশালাকৃতির মৃত প্রাণী, ছবি তুলতে হুড়োহুড়ি স্থানীয়দের]

স্বাস্থ্য ভবনের এক কর্তার কথায়, “যক্ষ্মা রোগীকে চিকিৎসা ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায় রোগীর নামে কোনও অ্যাকাউন্ট না থাকা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রোগীর নাম জুড়ে দিলে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।” ওই স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, এর ফলে দু’দিকে লাভ হবে। প্রথমত, যক্ষ্মা রোগীর জন্য আলাদা করে অ্যাকাউন্ট খোলার ঝক্কি অনেকটাই কমবে। এবং লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অ্যাকাউন্ট যদি তাঁর নামেই খোলা হয়ে থাকে তবে তো সমস্যা অর্ধেক কমে যায়। দ্বিতীয়ত, রাজ্যজুড়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে। সেই অ্যাকাউন্টেই যক্ষ্মা রোগীর মাসিক চিকিৎসাভাতা বাবদ টাকা পৌঁছে যাবে।

ব্যাংকগুলির হ্যাপা অনেকটা কমবে। এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, রাজ্যে বিভিন্ন রকম প্রকল্প চলছে, নাগরিকরা আর্থিক ভাতা পাচ্ছেন। একটি অ্যাকাউন্ট থাকলে সরকারের হিসাব রাখতেও সুবিধা হবে।” স্বাস্থ্য দপ্তরের ফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে যক্ষ্মা রোগীর মাসিক ভাতা বাবদ সরকারের কোষাগার থেকে ২৪ কোটি ২১ লক্ষ টাকা এবং ২০২০-২১ আর্থিক বছরে খরচ হয়েছে ১৬ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। রাজ্যে নতুন যক্ষ্মা রোগী চিহ্নিত করতে বেশ কয়েকটি এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে বস্তিবাসী, ঘিঞ্জি এলাকা, কোলিয়ারি এলাকা, সংশোধনাগার-সহ বিভিন্ন এলাকা। এই সব এলাকায় আশা এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে ক্যাম্প করবেন। টানা কাশি, সঙ্গে জ্বরের মতো উপসর্গ থাকলে থুতু পরীক্ষা করে যক্ষ্মা নির্ণয় করা হবে। গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়েছে। নবান্নের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায়।

[আরও পড়ুন: ‘দলে যোগ্যদের মর্যাদা দিতে হবে’, টিম পিকের বিরুদ্ধে ‘ক্ষুব্ধ’ সাংসদ Kalyan Banerjee]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement