সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝে আর মাত্র ক’টা দিন। তার পরই ভিড়ে থইথই শহর কলকাতা। রাস্তায় জনতার ঢল। মণ্ডপের বাইরে লম্বা লাইন। সে লাইন পেরিয়ে দেবী দর্শন করতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা হতে পারে বইকী! দু-একটা ঠাকুর দেখেই রাত কাবার। উত্তর থেকে দক্ষিণের নানা নামী মণ্ডপসজ্জা দেখার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। কিন্তু হাতে যদি একটা ভিআইপি পাস থাকে, তাহলেই মুশকিল আসান। বিশেষ লাইন ধরে তরতরিয়ে এগিয়ে যাওয়া যাবে। খাটনির সঙ্গে বাঁচবে সময়ও। ভাবছেন তো, এহেন জ্যাকপট কীভাবে পাবেন? কী করে পুজোয় হয়ে উঠবেন ভিআইপি! চলুন জেনে নেওয়া যাক।
প্রতি বছরের মতো এবারও ফোরাম ফর দুর্গোৎসব এনেছে পুজো দেখার পাসপোর্ট। যা হাতে থাকলে ভিড় এড়িয়ে সময় বাঁচিয়ে কলকাতা ও হাওড়া মিলিয়ে মোট ৫৬টি পুজো দেখার ছাড়পত্র পাবেন। সহযোগিতায় দ্য টেলিগ্রাফ এবং পেটিএম ইনসাইডার। এই প্রয়াসের ডিজিটাল সহযোগী সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। টালি থেকে টালা মায় বেহালা, গোটা শহরের পুজো বন্দি দু’মলাটে। থাকছে টালা প্রত্যয়, হাতিবাগান সর্বজনীন থেকে, বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন থেকে বড়িষা ক্লাবের মতো সেরা পুজোয় ঢোকার ভিআইপি পাস (Pujor VIP Passport 2023)। শুধু তাই নয়, এবার হাওড়ার তিনটি পুজোও জায়গা করে নিয়েছে এই পাসপোর্টে। তিনজনের প্রবেশাধিকার মূল্য মাত্র ৪৯৯ টাকা।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কি কমলা রঙের জার্সি পরে মাঠে নামবে রোহিতের টিম ইন্ডিয়া?]
ফোরাম ফর দুর্গোৎসব-এর সম্পাদক শাশ্বত বোস জানালেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে যাতে মায়ের দর্শন করতে পারেন, তার জন্য প্রতিবারের মতোই এবারও ভিআইপি পাসপোর্টের বিক্রি শুরু হয়েছে। গতবারের তুলনায় এবার পুজোর সংখ্যা বাড়লেও পাসের মূল্য বাড়ানো হয়নি। যে পুজোয় বেশি ঢল নামে, অর্থাৎ লম্বা লাইন পড়ে, সেই পুজোগুলোতেই ভিআইপির মতো প্রবেশ করা যাবে।
এবার প্রশ্ন হল, কোথা থেকে এই পাস কিনতে পারবেন। পেটিএম ইনসাইডার ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপ থেকে সরসারি বুক করতে পারেন পুজো দেখার পাসপোর্ট। ক্লিক করুন এই লিংকে। ১৮ অক্টোবরের মধ্যে ৪৯৯ টাকা অনলাইনে পেমেন্ট করে নিশ্চিত করুন নিজের পাসপোর্টটি। বুক করার পর পুজো দেখার পাসপোর্ট সংগ্রহ করে নিন রাজবিহারী ক্রসিংয়ের কাছে পুজো বাদামতলা আষাঢ় সংঘ এবং উত্তর কলকাতার স্টার থিয়েটার থেকে। ১১ থেকে ১৮ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৭টার মধ্যে পাসটি সংগ্রহ করতে হবে। ১৯ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত এই পাস ব্যবহার করে পুজো দেখে নেওয়া যাবে।
তাহলে আর দেরি কেন, এখনই কিনে ফেলুন পুজোর পাস আর আড্ডা, খাওয়াদাওয়া, প্রেম-ভালবাসার জন্য সময় বাঁচান।